বাংলাদেশের বিজয় দিবস ১৬ই ডিসেম্বর উদযাপন
আমাদের ফজর নিউজ থেকে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকল সদস্যদের প্রতি চির কৃতজ্ঞতা এবং সম্মান প্রকাশ করা হচ্ছে। কেননা তাদের এই অবদানের কারণে আমরা বাংলার স্বাধীনতা অর্জন করতে পেরেছি এবং পাক হানাদার বাহিনী থেকে রক্ষা পেয়েছি। তাদের প্রতি চির কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে আমাদের এই প্রতিবেদন শুরু করছি।
বাংলাদেশের বিজয় দিবস ১৬ই ডিসেম্বর উদযাপন
আজ বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবস। ৭১ সালে এই দিন বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা পাক হানাদার বাহিনী থেকে বাংলাদেশের জয় ছিনিয়ে আনে। প্রথমে তারা ভাষার কারণে আমাদেরকে বিভিন্ন দিক থেকে আটকে রেখেছিল। ১৯৫২ সালে রফিক, জব্বার, সালাম, বরকত এর রক্তের বিনিময়ে আমরা বাংলা ভাষা অর্জন করতে পেরেছি। এই ভাষা এখন পর্যন্ত আমরা উচ্চারণ করেছি সে ভাষাটি অর্জন করতে দিতে হয়েছে রক্ত এবং অসংখ্য আন্দোলন।
এরপর থেকেই শুরু হতে থাকে মুক্তিযুদ্ধের প্রভাব বিস্তার। পাকিস্তান হানাদার বাহিনীরা বাংলাদেশের মানুষের ওপর বিভিন্নভাবে অত্যাচার করতে থাকে। খাবার থেকে শুরু করে চাকরির সুবিধা পর্যন্ত বাংলার মানুষকে কম দেয়া হতো এবং তাদের অধিকার বেশি থাকতো। এই নির্যাতন বেশিদিন সহ্য না করে মুক্তিযুদ্ধের দিকে ধাবিত হতে থাকে বিভিন্ন মাধ্যমে। তার মধ্যে অন্যতম একজন ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার সাথেই মার্চের ভাষণে অনুপ্রাণিত হয়ে বাংলার আমজনতা সবাই এক হয়ে যায়। তারপর ২৫ শে মার্চের তার ঘোষণার পর বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের জন্য ঝাপিয়ে পড়ে। দীর্ঘ নয়মাস যুদ্ধকালীন অবস্থা পরিস্থিতির পর 16 ডিসেম্বর বিজয় করে বাংলাদেশ। 16 ডিসেম্বরকে বাংলাদেশের বিজয় দিবস বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
১৬ই ডিসেম্বরের বক্তব্য
তবে এই নয় মাস যুদ্ধকালীন সময়ে বাংলাদেশকে অনেক খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে যেতে হয়েছে। যেমন ৩০ লক্ষ মানুষ শহীদ হয়েছেন এবং অনেক মা বোন নির্যাতিত হয়েছেন। পিতা মাতা হারিয়েছেন অনেক ছোট ছোট ছেলে মেয়ে আবার সন্তান হারিয়ে দিশেহারা করেছেন অনেক মা-বাবা। তবে বাংলার মানুষ পেয়েছে চির স্বাধীনতা এবং স্বাধীন একটি দেশ। ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে তাদের প্রতি রইল আমাদের আপ্রান শ্রদ্ধা ছাড়া এই মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।