শাওয়াল মাসের রোজার ফজিলত
ধর্ম বিষয়ক আলোচনার আজকের প্রসঙ্গে রয়েছে শাওয়াল মাসের রোজার ফজিলত সম্পর্কে। একজন মুসলিম এখান থেকে জানতে পারবেন এই সময় রোজা রাখার রহমত এবং ফজিলত সহ অন্যান্য বিষয়ের সম্পর্কে।
মুসলমানদের জন্য রমজানের সময় পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পাশাপাশি ৩০ টি রমজান ফরজ করে দিয়েছে। এখানে রমজান মাসে মূলত রোজা ফরজ করে দেওয়া হয়েছে সে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। কোন ব্যক্তি বিনা কারণে রোজা ভঙ্গ করতে পারবে না। আর যদি কারণবশত করে তাহলে পরবর্তী সময়টা আদায় করতে হবে নির্দিষ্ট কিছু পদ্ধতিতে। আর রমজান মাস প্রতি রোজা রাখার পর অর্থাৎ ৩০ টি রোজা পালনের পর পরবর্তী মাসে শুরু হয় শাওয়াল মাস। আর শাওয়াল মাসে রয়েছে মুসলমানদের বড় উৎসব ঈদুল ফিতর। যার বাংলা শব্দের অর্থ হচ্ছে রোজা ভঙ্গের আনন্দ। হঠাৎ রমজানের শেষ দিন এরপর অর্থাৎ শাওয়াল মাসের প্রথম দিন এই উৎসব পালন করা হয়। সারা পৃথিবীর জন্য যত মুসলমান রয়েছে তাদের ভৌগোলিক অবস্থান এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর নির্ভর করে এগুলো উদযাপন করে থাকেন। প্রতি বছর এভাবেই রমজান পালন হয়ে আসছে।
শাওয়াল মাসের রোজার ফজিলত
ঈদ উদযাপনের পাশাপাশি এখানে মুসলমানদের জন্য আরেকটি বিষয় রাখা হয়েছে। সেটা হচ্ছে ছয়টি নফল রোজা। তবে এটি সবার জন্য ফরজ করে দেওয়া হয়নি। কিন্তু এ রয়েছে অনেক বেশি ফজিলত এবং নেয়ামত। অনেকে বলে থাকেন ৩০ টি রোজার সাক্ষী রোজা হচ্ছে এই ছয়টি। যদিও এটি নফল কিন্তু এর ফজিলত রয়েছে অনেক বেশি। চলুন এখন আমরা এই ফজিলত সম্পর্কে আলোচনা করে এবং দেখে নেই।
বেশ কয়েকটি হাদিসে পাওয়া গেছে যে ব্যক্তি শাওয়াল মাসের ছয়টি রোজা পালন করল সে যেন সারা বছর নফল রোজা পালন করলো। আবার অন্য একটি হাদিসে পাওয়া গিয়েছে যে ব্যক্তি এই ছয়টি নফল রোজা পালন করে সে সারা বছর রোজা রাখার সওয়াব পেয়ে যায়। অর্থাৎ এ রোজার নফল হলেও মহান আল্লাহ তায়ালা এর উপর দিয়েছে নানা বরকত এবং রহমত। তাই আমরা সবাই শাওয়াল মাসের রোজার ফজিলত সম্পর্কে জানবো এবং অন্যকে এ বিষয়ে অবগত করব।
ধর্মীয় সংক্রান্ত সকল হাদিস এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো জানতে হলে অবশ্যই ফাজার পত্রিকা পড়বেন। কেননা এ পত্রিকায় তুলে তোরা হয়ে থাকে সকল ধরনের ইসলাম এবং অন্যান্য ধর্ম সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং আপডেট।