কোরবানির ঈদ কবে হবে?
রমজান মাস শেষ হয়ে গেছে এবং ঈদুল ফিতরের উদযাপন করা হয়েছে। কিন্তু এখন অনেকেই জানতে চাচ্ছেন কোরবানির ঈদ কবে হবে সে বিষয় সম্পর্কে। আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা উক্ত বিষয় সম্পর্কেই তুলে ধরবো আপনাদের সামনে। চলুন এখন আমরা এই বিষয় সম্পর্কে জেনে নেই।
সকল মুসলমান এর উপর ফরজ করে দিয়েছেন রমজানের সময় ৩০ টি রোজা। তারপর তাদের জন্য রেখেছেন ঈদ যাকে বলা হয় ঈদুল ফিতর। বাংলায় হচ্ছে রোজা ভঙ্গের আনন্দ। গত ১২ই মার্চ থেকে শুরু হয়েছিল বাংলাদেশের পবিত্র মাহে রমজান এবং শেষ হয়েছে ১০ মার্চ ২০২৪। এরপর ১১ই মার্চ সারা দেশ জুড়ে পালন করা হয়েছে ঈদুল ফিতর। আর আল্লাহ তাআলা রমজানের পর মুসলমানদের জন্য বড় দুইটি উৎসব রেখেছেন। রমজানের পর হচ্ছে ঈদুল ফিতর এবং তার কয়েক মাস পর ঈদ উল আযহা। ঈদ-উল-আযহা মানে হচ্ছে কোরবানি করা। অর্থাৎ এই দিনে মহান আল্লাহ তায়ালার জন্য তার প্রিয় পশুকে কুরবানী করাই হচ্ছে এই ঈদের বড় নেয়ামত এবং ফজিলত। এটি উদযাপন করা হয় নির্দিষ্ট সময়ের পর। পড়াশোনা এখন আমরা সে বিষয় সম্পর্কে জানব। এই ঈদ কবে অনুষ্ঠিত হবে সে বিষয় সম্পর্কে।
কোরবানির ঈদ কবে হবে?
এই ঈদ কবে হবে সেটি জানার অন্যতম কারণ হচ্ছে ছুটি হিসাব করা এবং কোরবানির প্রস্তুতি গ্রহণ করা। কোরবানি করার নিয়ম রয়েছে বেশ কয়েকটি শক্ত নিয়ম। পশু হতে হবে অবশ্যই চার পায়ের এবং সুস্থ সবল তরতাজা। এছাড়াও একা দেওয়া সামর্থ না হলে সাত ভাগের মাধ্যমে এই কুরবানী দেওয়া সম্ভব হয়। যার কারণে নিজেদেরকে সেভাবে প্রস্তুত করে নিতে হয়। এখন আপনাদের সামনে তুলে ধরব এই বিষয় সম্পর্কে।
যদি আরবি মাস হিসাব করা হয় তাহলে জিলহজ মাসের ১০ তারিখে এই কুরবানীর ঈদ অনুষ্ঠিত হয়। যেহেতু রমজানের ঈদ অনুষ্ঠিত হয়েছে এপ্রিলেরএপ্রিলের ১১ তারিখে সেহেতু মাসের ১০ তারিখ পড়তে পারে ইংরেজি মাসের ১৭ই জুন। অর্থাৎ কোরবানির ঈদ কবে হবে সে বিষয়ে নির্ধারণ করা হবে এই সময়। তবে অনেকটা এটি নির্ভর করে চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল হয়ে। তানজিলত মাসের চাঁদ যদি একদিন আগে পরে হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে সময় একদিন এগিয়ে অথবা পিছিয়ে যেতে পারে। তবে সবচেয়ে সম্ভাব্য সময় হচ্ছে এটি অর্থাৎ আগামী ১৭ জুন তারিখ।