কুরবানী কার উপর ফরজ করা হয়েছে?
এখন আমরা জানবো কুরবানী কার উপর ফরজ করা হয়েছে এবং এর সংক্রান্ত আরো অন্যান্য বিষয়গুলো। চলুন তাহলে আমরা এখন সে বিষয় সম্পর্কে দেখি এবং জেনে নেই।
ঈদুল ফিতর তাদের জন্যই রাখা হয়েছে যারা রমজানেতে রোজা পালন করেছে। অর্থাৎ যারা নিয়মিত রোজা পালন করেছেন মহান আল্লাহতায়ালা তাদের উপর বরকত দিয়ে খুশির জন্য ঈদ দিয়েছেন। মুসলমানদের জন্য বছরের দুইটি বড় উৎসব থাকে তার মধ্যে দুটি হচ্ছে ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহা। ইতিমধ্যে আমাদের দেশে এ বছরের ঈদুল ফিতর আদায় হয়ে গিয়েছে। আগামীতে আসছে ঈদ উল আযহা। আর এই ঈদ কবে অনুষ্ঠিত হবে সে বিষয় সম্পর্কে তুলে ধরা হয়েছে আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনে। চলুন এখন আমরা উক্ত বিষয় সম্পর্কে দেখে নিয়ে এবং জেনে নেই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। অর্থাৎ কুরবানী কিভাবে করবেন এবং কার ওপর ফরজ করে দেয়া হয়েছে এ সকল বিষয়সহ আরো অন্যান্য তথ্যগুলো।
কুরবানী কার উপর ফরজ করা হয়েছে
প্রথমেই বলে রাখছি কোরবানি এটি ফরজ নয় এ বিষয়টি বেশ কয়েকটি হাদিসে প্রমাণিত হয়েছে। মূলত এটি হচ্ছে ওয়াজিব। অর্থাৎ এটি হচ্ছে সবার উপরে ফরজ নয় কিন্তু যাদের উপর নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পদ রয়েছে তাদের উপর এটি আদায় করার জন্য বেশ জোরদার করে দেওয়া হয়েছে। অনেকে বলেছেন এটি হচ্ছে সুন্নতে মুয়াক্কাদা।
এখন আসি কাদের উপর ওয়াজিব হয়েছে। যাদের নেসাব পরিমাণ সম্পদ রয়েছে তাদের উপরি এটি ওয়াজিব করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও যাদের কুরবানি করার মত সামর্থ্য রয়েছে তাদেরকে অবশ্যই এটা আদায় করতে হবে। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এ বিষয়ের উপর বেশ গুরুত্ব দিয়েছেন এবং জোর দিয়ে বলেছেন। অর্থাৎ সামর্থ্যবান ব্যক্তিকে অবশ্যই কুরবানী করতে হবে এবং এই ওয়াজিব আদায় করে নিতে হবে। এছাড়াও বিভিন্ন হাদিসে বলা হয়েছে যদি কোন ব্যক্তি পাগল থাকে অথবা সফর হয়ে থাকে তার উপরে কুরবানী ওয়াজিব করা হয়নি। অর্থাৎ তাদের ক্ষেত্রে এ বিষয়টি ছাড় দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও যারা ঋণগ্রস্ত রয়েছে তাদের ওপরও ওয়াজিব করা হয়নি। সবার আগে ঋণ পরিশোধ করতে হবে তারপর কোরবানির ওয়াজিব আদায় করে নিতে হবে এমনটাই পাওয়া গেছে বেশ কয়েকটি হাদীসে।
অন্যান্য প্রতিবেদন- কোরবানির ঈদ কবে হবে?
এই ছিল কুরবানী কার উপর ফরজ করা হয়েছে সে বিষয়টি। এরকম আরো অন্যান্য ইসলামিক সংক্রান্ত তথ্য এবং আপডেটগুলো দেখতে হলে অবশ্যই আমাদের ইসলামিক ক্যাটাগরি দেখুন।