ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে বরখাস্ত করার কারণ
সম্প্রতি সময়ে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে বরখাস্ত করে দেওয়া হয়েছে আজকের এই প্রতিবেদনের সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে। কেন এই শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং বর্তমান কি পরিস্থিতিতে রয়েছে সে বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করব।
সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন প্লাটফর্মে এখন আলোচনা হচ্ছে বয়কট বিকাশ এবং বয়কট ব্রাক পণ্য এ সকল বিষয় নিয়ে। হঠাৎ করে কেন এত ডুমুর ঝড় উঠলো বিভিন্ন ধরনের প্লাটফর্মে সে বিষয় নিয়েই জানার আগ্রহ করেছে বিভিন্ন সাধারণ জনগণরা। মূলত ঘটনা ঘটেছে সপ্তম শ্রেণীর শরীফ শরীফার গল্প থেকে। আসুন তাহলে আমরা এখন এ বিষয় সম্পর্কে জানি এবং কি কারনে ঘটেছে সে বিষয় সম্পর্কে পরিষ্কার তথ্য যেতে নেই।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে বরখাস্ত করার কারণ
সপ্তম শ্রেণীর পাঠ্য বস্তুর বইয়ের দেওয়া হয়েছিল ট্রানজেন্ডার নিয়ে একটি প্রতিবেদন। সেখানে শরীফ থেকে শরিফা হওয়ার গল্প থাকে। আর এই গল্পকে কেন্দ্র করে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক জনাব আসিফ মাহতাব বলেন- আপনারা লাইব্রেরী থেকে এই বই কিনবেন এরপর প্রথম দুই পেয়েছি ছিড়ে আবার তাদেরকে এই বইটি অর্ধেক মূল্যে বিক্রি করতে। এভাবেই তিনি প্রতিবাদ জানাতে বলেছেন সকল মানুষদেরকে। এরপর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়াতে তিনি প্রচুর আলোচনায় আসার এবং প্রশংসা কুড়িয়েছেন।
কিন্তু এরপর তিনি রীতিমত ভাবে প্রত্যেকদিন আগের মত করেই ক্লাস নিয়েছিলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে ক্লাস নেওয়ার পর বাসায় ফিরেন কিন্তু হঠাৎ করে তাকে ফোন দিয়ে জানানো হয় পরবর্তী দিন থেকে জানো তিনি ক্লাস না নেন। অর্থাৎ কর্তৃপক্ষ তাকে সেই কলেজ থেকে বরখাস্ত করেছেন এমনটাই বোঝা যায় তার ফেসবুক পেজ থেকে। এ বিষয়টি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে এবং জানা যায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়েছে। এরপর থেকে আরও সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রচুর আলোচনা এবং সমালোচনার শিকার হচ্ছে।
শিক্ষার্থীরা সহ আমজনতারা বয়কট বিকাশ নামের স্লোগান দিয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও তারা ব্র্যাকের বিভিন্ন ধরনের পণ্য বয়কট করা শুরু করে দিয়েছে এমনটাই জানা যাচ্ছে বিভিন্ন মাধ্যম গুলোতে। এই সম্পর্কে সর্বশেষ তথ্য এবং আপডেট জানতে হলে অবশ্যই আমাদের পত্রিকা নিয়মিত পড়বেন।
আরোও পড়ুন: সপ্তম শ্রেণীর শরিফ শরিফা হওয়ার গল্প