হাড্ডি কখনো গোস্ত হয় না, উপজাতি কখনো দোস্ত হয় না
হাড্ডি কখনো গোস্ত হয় না, উপজাতি কখনো দোস্ত হয় না। এই বাক্যটা বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে সবচেয়ে ভাইরাল হয়ে চলছে। এই বাক্যটা শুনলে উপকৃতপক্ষে অনেকে জানেন না কি কারণে এ কথাটা বলা হচ্ছে। তবে এটা কোন পক্ষের তুলে ধরা হচ্ছে না সামগ্রিক পরিবেশ অনুযায়ী এ সংবাদটা প্রচার করা হচ্ছে।
কয়েক দিন ধরে বাংলাদেশের সবচেয়ে ব্রেকিং নিউজ এবং শকিং নিউজ হচ্ছে এক ছেলেকে উপজাতিরা হত্যা করে তার মাংস খেয়ে ফেলেছে। আমরা এই ঘটনার মূল কথাটি জানবো। মূলত বেশ কয়েকদিন আগে একটি ছেলে নিখোঁজ হয় পাহাড়ি অঞ্চল থেকে। ঠিক কয়েকদিন পর তার অভিভাবক কে ফোনের মাধ্যমে জানানো হয় ১৫ লক্ষ টাকা বিনিময়ে তার ছেলেকে ছেড়ে দেওয়া হবে।
কিন্তু তার বাবা মা 2 লক্ষ টাকা দিতে রাজি থাকলেও তারা তার ছেলেকে ফেরত দেন নাই। তারপর তারা পুলিশের স্বরাপন্ন হলে এরপর জানতে পারে তাদের ছেলেকে মেরে ফেলা হয়েছে। আর তাকে হত্যা করেছে মূলত তার উপজাতি বন্ধুরা।
হাড্ডি কখনো গোস্ত হয় না, উপজাতি কখনো দোস্ত হয় না
ছেলেটির নাম ছিল সাকিব। বিশেষ মাধ্যমে তার উপজাতি বন্ধুদের সাথে পরিচয় হয় এবং তারাই কিডন্যাপ করে তাকে হত্যা করে। এক্ষেত্রে 15 লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চাইলেও তার বাবা-মা ২ লক্ষ টাকা দিতে রাজি হলেও তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়নি। হত্যা করা হয়েছে তাকে এবং তার মাংস গুলো খেয়েছে তার বন্ধুরা। এক্ষেত্রে একজন আসামিকে গ্রেফতার করা হলেও তাকে থানায় নিয়ে যাওয়ার পথেই পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয় এলাকার মানুষজন।
এরপর কোন পিটুনি খেয়ে সে নিহত হন। আর বাকি আসামি গুলোকে ধরার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে ইচ্ছে বাংলাদেশের পুলিশ বাহিনীরা। কিন্তু উপজাতিদেরকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে হাড্ডি কখনো গোস্ত হয় না, উপজাতি কখনো দোস্ত হয় না। এ কথাটি নিয়ে চলছে প্রচুর আলোচনা সমালোচনা।
Also Read: কেন ফিরে গেলেন সায়ন্তিকা
তবে এক্ষেত্রে এর বিষয় নিয়ে বেশি কথা না বলার জন্য অনুরোধ করেছে প্রশাসন। কারণ এখানে সাধারণ মানুষ এবং আদিবাসীদের মধ্যে সম্পর্ক নষ্ট করে দেবে তাই। উভয় যেন ভালো থাকে সেজন্য এ সকল উক্তি বা কথা থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।