সন্তানকে কি শেখাবেন? অভাব নাকি আভিজাত্য, বিনয়ী নাকি অমায়িকতা?
জীবনের শ্রেষ্ট সম্পদ সন্তান। সন্তানকে আপনি জন্ম দিলেই হবেনা একজন শিশু মায়ের গর্ভে ধারণ হওয়ার পর তার জন্মের পরপরই সে শিশু সে মানুষ হয়ে উঠতে পারেনা তাকে মানুষ করতে হয় আর এই মানুষ করতে সবচেয়ে বেশি দায়িত্ব পালন করতে হয় অভিভাবকদের। সন্তানকে কি শেখাবেন অভাব না আভিজাত্য? এ বিষয়ে নিয়ে অনেকেই অনেক লিখা লিখি মন্তব্য করেছেন।
কারো কারো মতে সন্তানকে অভাব শিখান আবার কারো কারো মতে সন্তানকে আভিজাত্য শেখান যে যার মত নিয়ে আছেন এবং সমর্থনেও রয়েছেন। তো আপনি কি ভাবছেন? সন্তানকে কি শেখাবেন অভাব না আভিজাত্য?
পরিবার সন্তানের প্রথম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
একটি শিশু পরিবারে জন্ম গ্ৰহন করে সে এমনি এমনিতে মানুষ হয়ে যাবেনা তাকে মানুষ করতে হবে কেবল মানুষ করলে হবেনা তাকে প্রকৃত মানুষ আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে সেজন্য আমাদের করনীয় কি?
একটি সন্তানের প্রথম শিক্ষক তার মা বাবা, সন্তানরা যা দেখবে তাই শেখবে আপনার ভিতরে কি আছে তা দেখে সন্তান তাই শিখে। আপনার সন্তান হলো দর্পন স্বরূপ আপনি তার প্রতিবিম্ব আপনি সন্তানের সামনে যাই বলবেন দেখাবেন প্রয়োগ করবেন সন্তান তাই শিখে, আপনি যদি সন্তানের সামনে মিথ্যা কথা বলে থাকেন ধরুন আপনি আজ আপনার স্ত্রীর সাথে মিথ্যা কথা বলছেন সন্তান তাই শুনছে তখন সেও একদিন মিথ্যা কথা বলা শিখে যাবে। সুতরাং সন্তানের সামনে কখনো ও মিথ্যা বলতে নেই। সন্তানের প্রথম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিবার তাই সন্তানদের পরিবারে কেবল খাতা আর পেন্সিল দিয়ে শেখাতে হয়না কোন কিছু আপনার আচরন আপনার কথা শুনে সে এমনি এমনিতে শিখে যাবে।
আপনি যত অভাবের মাঝে থাকো না কেন আপনি দেখবেন আমি আমার মনের দিক দিয়ে কতটা সুখি কতটা অভাবমুক্ত তাই যাচাই করে আপনি আপনার সন্তানকে শেখান। যত অভাব থাকুক না কেন অন্তরের যে সুখ যে আভিজাত্য সেটা যেন নষ্ট না হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন এবং আপনার প্রিয় সন্তানদের তা শিখান। বিনয়ী ও অমায়িকতা কি জিনিস তা বুঝতে শেখান। বর্তমান যে পরিস্থিতি তাতে একটা শিশুকে মানুষের মতো মানুষ করতে মা বাবার অবদান সবচেয়ে বেশি।
মা বাবার আচরণে সংযত হওয়া উচিতঃ
সন্তান মূলত তাই শিখবে যা আপনার ভেতরে দেখতে পাবে। আপনি আপনার সন্তানের প্রথম শিক্ষক। সন্তানকে আপনি যাই শেখাবেন তাই শিখতে বাধ্য সে কেননা সে তো তার জন্মের পর পরই তার ইচ্ছে মতো চলতে পারেনা তাকে শেখাতে হয় আপনি আপনার ভেতরের যত ইতিবাচক দিক রয়েছে তাও সে শেখবে নেতিবাচক কোন দিক থাকলে তাও সে শিখবে তাই যথাসম্ভব আমরা আমাদের সন্তানদের সামনে ইতিবাচক দিক গুলো প্রয়োগ করবো যাতে আমাদের সন্তানরা বিনয়ী হতে শেখে অমায়িকতা শেখে যদি ও অভাব থাকে তবুও তাকে ভালো দিক গুলো শেখান ভালো ব্যবহার দেখান আপনার ভেতরের যত ক্ষোভ তাকে দেখাবেন না তার মনের সুন্দর দিক টা যেন সে উপলব্ধি করতে পারে সে দিকে খেয়াল রাখুন।
ইতিবাচক দিক গুলো প্রয়োগ করুন এবং শেখানঃ
সন্তান হচ্ছে অনেক বড় এক সম্পদ যার সন্তান নেই সে কেবল বুঝতে পারে সন্তান না পাওয়ার যে কত যন্ত্রনা। তাই আমরা যারাই সন্তানের বাবা মা সবার উচিত সন্তানকে আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা সেজন্য সন্তানদের সামনে ইতিবাচক কথা ইতিবাচক দিক গুলো প্রয়োগ করতে হবে যাতে তারাও একটা খারাপ কথা বলতে মনে বাঁধে যে আমরা তো দেখিনি আমাদের বাবা মা কখনো খারাপ কথা বলেন না আমরা কিভাবে বলবো তাই আবারো লিখছি সন্তানদের সামনে কখনো ঝগড়া করতে নেই মিথ্যা কথা বলতে নেই সন্তানদের বিষয়ই হতে যা যা করা দরকার ইনশাআল্লাহ আমরা সবাই করবো এই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে।
সন্তানকে প্রয়োজনে কঠোর হওয়া শিখানঃ
সন্তানকে যেভাবে আদর সোহাগ দিয়ে বড় করতে হচ্ছে সেভাবে তাদেরকে প্রয়োজনে কঠোর হতে সেখান এমন সোহাগ আর এমন ভালোবাসা দিবেন না যে ভালোবাসা তাকে অনেক ক্ষতির দিকে ঠেলে দেয় তাই প্রয়োজনে তাদের কঠোর হতে শেখান।
নির্লোভ হওয়া শেখানঃ
সন্তানকে এমন শিক্ষা দেন যাতে সে অন্যের কিছু দেখে সে যেন লোভ না করে কেননা বর্তমানে যে অবস্থা চারদিকে মানুষের চাহিদার শেষ নেই এমন চাহিদা যে অনেক ভালো লেবাছধারী লোকজন ও সুদ ঘোষ ইত্যাদি ইত্যাদি বিভিন্ন লোভে আকৃষ্ট এই যে বাবা মায়ের কাহিনী সেটা বাচ্চাদের উপর অনেক প্রভাব ফেলে উপস্থিত যদিও সেটা অনুভব করা যায়না কিন্তু সে বাবা মায়ের সন্তানেরা ভবিষ্যতে এরকম হয়ে থাকে বাবা মায়ের পাপের ফল ভোগ করতে হয় একজন সন্তান কে তাই সন্তানদের মুখের দিকে তাদের ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে এসব বিষয় থেকে দূরে থাকুন এবং সন্তানকে বিনয়ী হতে শেখান এই পোস্ট টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যদি কারো ভালো না লাগে কোন ভুল থাকে তাহলে কমেন্টে জানাবেন কেননা মানুষ মাত্রই ভুল করে ভুল থাকলে ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।
আরোও পড়ুন: সারা দেশে সেনা মোতায়েন পরিকল্পনা রয়েছে (ইসি)