প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা বাতিলের আন্দোলন
আন্দোলন করা হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে। হঠাৎ কি এমন ঘটল তারা পরীক্ষার শেষ হওয়ার কিছুদিন পরে এই আন্দোলনের দাবি করে আসছে। সে বিষয়ে রহস্য উদঘাটন করা হচ্ছে এই প্রতিবেদনে।
মূলত প্রথম দফার পরীক্ষা রংপুর, দিনাজপুর এবং বিভিন্ন জেলার পরীক্ষাগুলো অনুষ্ঠিত হয়েছিলত ৮ ডিসেম্বর রোজ শুক্রবারে। সেখানে অনেক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করলেও রয়েছিল অনুপস্থিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশ। এছাড়াও বেশ কয়েকটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে যার কারণে সারা দেশে তোলপাড় ছড়িয়ে গেছে। পরীক্ষা শেষ হওয়ার কয়েকদিন পরেই পরীক্ষার্থীদের আন্দোলন করতে দেখা দিয়েছে। হঠাৎ করে এমন আন্দোলন অনেকটা অবাক করে দিয়েছে সাধারণ মানুষ সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কেউ। আমরা এখন এই বিষয় সম্পর্কেই জেনে নেই কি কারণে তারা আন্দোলনে নেমেছে।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা বাতিলের আন্দোলন
এবারের যে প্রাথমিক শিক্ষক পরীক্ষা হয়েছে ৮ ডিসেম্বর রোজ শুক্রবারে। এখানে মোট আবেদন করা হয়েছিল ৩ লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ প্রার্থীর। আবহাওয়ার পরিস্থিতি খারাপ হওয়া এবং বিভিন্ন ধরনের হরতাল অবরোধের কারণে উপস্থিত হতে পারেনি প্রায় এক লক্ষ 50 হাজারের অধিক শিক্ষার্থীরা। এমন পরিস্থিতিতে পরীক্ষা নেওয়া অনেকটা অযৌক্তিক বলে দাবি করছে বিভিন্ন ধরনের অনুপস্থিত থাকা পরীক্ষার্থীরা। এত বিশাল সংখ্যক পরীক্ষার্থী না থাকার কারণে পরীক্ষার পরিপূর্ণতা পায় না বলে জানিয়েছেন।
More: এ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ব্যাংক
অন্যদিকে বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস এবং অবৈধ উপায়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার কারণে প্রায় 100 জনের অধিক পরীক্ষার্থীদের আটক করা হয়। এছাড়া গ্রেফতার করা হয় সংশ্লিষ্ট কাজে জড়িত ব্যক্তিদেরকে। যার মাধ্যমে যাতে পরবর্তী কোন ধরনের পরীক্ষাতে এরকম দুর্ঘটনা না ঘটে। এদিকে বিভিন্ন ধরনের আন্দোলন এবং মানববন্ধন করে যাচ্ছে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষার্থীরা। কোন ধরনের কথা বলেনি নিয়োগ কর্মকর্তারা অথবা সংশ্লিষ্ট কাজে যুক্ত ব্যক্তিবর্গেরা। নির্দিষ্ট সময়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং নির্দিষ্ট নিয়ম কানুনের মধ্যেই আর অপরাধীদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে এখন পর্যন্ত রাস্তায় নেমেছে অনেক পরীক্ষার্থীরা।