নিষ্টুর মায়ের আত্মকাহিনী (মায়ের গল্প)

Shaheda Jannat

পৃথিবীতে সবচেয়ে ভালোবাসার জায়গা হচ্ছে মা। মা নেই যার সংসার অরন্য তাহার দেখিলে মায়ের মুখ দূর হয় সব দুঃখ। কিন্তু এই অসাধারণ তুলনাহীন মারা কিভাবে নিষ্ঠুর হতে পারে। আজ এই বিষয় নিয়ে এক নিষ্ঠুর মায়ের আত্মকাহিনী তুলে ধরলাম। মায়েরা কখনো নিষ্ঠুর হয়না মায়েদের নিষ্ঠুর বলতে মন বাধা দিচ্ছে তারপর ও আজকে লিখতে হচ্ছে একথা কেন লিখলাম কেন নিষ্ঠুর মায়ের আত্মকাহিনী এই টাইটেল দিলাম তা নিচে বিস্তারিত আলোচনা করলাম।

শরীয়তপুর এর কৃত্রিনাশা নদীতে তিন সন্তান সহ ঝাঁপ দিল এক মা সেই মাকে ঘিরে আজকের এই পোস্ট টি কেন ওকে নিষ্ঠুর মা বললাম তা নিচের সব গুলো বিষয় পড়লে অবশ্যই বুঝতে পারবেন। কষ্টের বিষয় হচ্ছে যদি সেই মার মনে এত ক্ষোভ এত জালা এত দুঃখ তাহলে নিজে একাই ঝাঁপ দিলনা কেন কেন এই অবুঝ নিষ্পাপ শিশুদের নিয়ে ঝাপ দিল। কি দোষ ছিল এই নিষ্পাপ শিশুদের অতটা নিষ্ঠুর মনের হলে এই জঘন্য কাজ করে একটি মানুষ। শরীয়তপুরের সালমা বেগম নামের এই নারীকে আসলে কি ঝাঁপ দিয়েছে না ও কেবল শিশুদেরকে পানিতে নিক্ষেপ করালো ওর লাশ এখনো পাওয়া যায়নি তবে ছোট দুই শিশু কে সেখানকার লোকজন জীবিত উদ্ধার করেছে কেননা প্রথমত আল্লাহ ওদের হায়াত রেখেছেন ওদের পৃথিবীর বুকে থাকার সময় শেষ হয়নি তাই জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে এবং বাঁচার আরেকটি অন্যতম কারন হচ্ছে ওদের পরনে ডাইপার ছিল এবং বড় ছেলেকে মৃত উদ্ধার করা হয়েছে।

মায়ের নিষ্টুর আত্মকাহিনী:

স্বাভাবিক কোন মা এরকম কি করবে কেননা যত দুঃখ কষ্ট থাকুক না কেন মা সন্তানদের কিভাবে জেনে শুনে পানিতে নিক্ষেপ করতে পারে স্বাভাবিক কোন মা তা পারবেনা হয়তো মানসিক রোগী না হয়তো অন্য কিছু। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে শরীয়তপুরের এই নিষ্ঠুর মা নাকি টিকা দিবে বলে সন্তানদের নিয়ে যাচ্ছে বাড়ির বাইরে সেখান থেকে কৃত্রিনাশা নদীর তীরে গিয়ে প্রথমে ছোট সন্তানদেরকে পানিতে নিক্ষেপ করে তারপর সে দৃশ্য বড় সন্তান দেখে দৌড়ে যেতে চাইলে সেখান থেকে মা তাকে ধরে এনে তার নিজ ওড়না দিয়ে বেধে তারপর পানিতে নিক্ষেপ করে দেয় এবং সে পানিতে পড়ে গেল বা না তা এখনো জানা যায়নি কেননা তার লাশ তো এখনো পাওয়া যায়নি কেবল বড় ছেলের লাশ পাওয়া গেছে।‌‌

এই নিষ্ঠুর মায়ের আত্মকাহিনী সবাইকে অবাক করে দিয়েছে কেননা মা যে এত নিষ্ঠুর হতে পারে তা কল্পনাতিত , শরীয়তপুরের সালমা এর উদাহরন তবে একটি কথা জীবনে যত দুঃখ কষ্ট আসুক না কেন সন্তানরা যেন সেই কষ্টের ভাগীদার না হয় অবুঝ শিশদেরকে পৃথিবীর আলো বাতাসে বাঁচতে দিতে হবে ওদের সেই অধিকার রয়েছে। এই পোস্ট টি কেবল শেয়ার করলাম সবার জানার স্বার্থে কেননা এরকম যেন কারো জীবনে না আসুক।

Share This Article