ড্র সিস্টেমে পোল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ম | Poland Work Permit Visa

ড্র সিস্টেমে পোল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সংক্রান্ত তথ্য নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে। এখান থেকে জানতে পারবেন কিভাবে আপনারা খুব সহজে পোল্যান্ড ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

বেশ কয়েকদিন সোশ্যাল মিডিয়া সহ বিভিন্ন ধরনের প্লাটফর্মে গুজব ছড়িয়েছে পোল্যান্ড ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন না অনেকে। কিন্তু এ গুজব সম্পূর্ণ সত্যি হলেও আংশিক এ গুজবটি সত্য। কেন এই গুজবটি সত্য সে বিষয়ে সম্পর্কে এখন আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করব। কারণ ওয়ার্ক পারমিট বিষয়ের ক্ষেত্রে নতুন আইন প্রণয়ন করা হয়েছে যা ওকে বলা হয় নতুন সিস্টেম। আর একে অনেকে বলে অ্যাপয়েন্টমেন্ট ভিসা।

সকল গুজবকে পিছিয়ে ফেলে গত ২২ সেপ্টেম্বর এ বিষয়টি পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়। অর্থাৎ এই নোটিশ এর মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয় ভারতের পোল্যান্ড এম্বাসি থেকে ভিসা সংগ্রহ করতে পারবে সাধারণ জনগণ। শুধুমাত্র সি ক্যাটাগরি ভিসা জন্য আবেদন জমা দিতে পারবে প্রার্থীরা। ড্র সিস্টেমে পোল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে জানার পূর্বে আমরা জানবো সেই ক্যাটাগরি ভিসা কোনগুলো।

মূলত সেই ক্যাটাগরির ভিসা হচ্ছে মেডিকেল ভিসা, টুরিস্ট ভিসা, ভিজিট ভিসা। এগুলো খুব সহজেই আবেদন করা যাবে এবং এপ্রুভ পাওয়া যাবে তাড়াতাড়ি।

ড্র সিস্টেমে পোল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

আরেকটি বিষয় আপনাদের সামনে ক্লিয়ার করি যেটি হচ্ছে বাংলাদেশের সুইডিশ এম্বাসিতেই পোল্যান্ড ভিসার জন্য আবেদন করা যাবে। এই বিষয়টি অনেকেই জানতেন না। এই পদ্ধতি শুধুমাত্র এখন থেকে নয় বহু আগে থেকেই চলে আসছিল। কিন্তু অনেকেই জানতো না শুধুমাত্র কিছু এজেন্ট এটি হাইলাইট করে আসছিল।

পোল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার নিয়ম

এখন আসি মূল কথায় অর্থাৎ আপনারা ডি ক্যাটাগরি ভিসার জন্য কিভাবে আবেদন করবেন এবং পাবেন। মূলত ডি ক্যাটাগরি ভিসা হচ্ছে ফ্যামিলি ভিসা, ওয়ার্কিং ভিসা ইত্যাদি। বিষয়গুলোর জন্য বেশ ঝামেলার মুখে পড়তে হয়। কেননা এই ধরনের ভিসা হচ্ছে দীর্ঘমেয়াদী যার কারণে প্রসেসিং এবং নিয়মকানুন বেশ জটিল। কিন্তু এখান থেকেও আপনারা পোল্যান্ড এম্বাসি তে গিয়ে সরাসরি আবেদন করার সুযোগ পাচ্ছেন। এইজন্য উক্ত অফিস থেকে আপনাকে একটি অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে। ড্র সিস্টেমে পোল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নেওয়ার অন্যতম একটি ধাপ একটি।

এপয়েন্টমেন্ট নেওয়ার জন্য আপনাকে তাদের অফিস থেকে একটি অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম পূরণ করতে হবে। আর এই অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম মূলত অনলাইন পদ্ধতিতে করা হয়ে থাকে। এজন্য আপনার প্রয়োজন হবে মোবাইল নাম্বার, পাসপোর্ট নাম্বার এবং ভিসা তথ্য দিয়ে। এখান থেকে একটি কনফারমেশন লিংক পাঠাতে হবে সেটি কনফার্ম করলেই পেয়ে যাবেন আপনার আবেদন প্রক্রিয়া শেষ ধাপ। আপনার সকল তথ্য ভেরিফাইয়ের জন্য দুই থেকে তিন দিন সময় নেবে। যদি আপনার তথ্য কোন ভুল হয় তাহলে আপনার ভিসাটি রিজেক্ট করে দিবে। যদি সঠিক হয় তাহলে পুল করার জন্য আপনাকে একটি লিংক দেওয়া হবে। লিংকে প্রবেশ করে পুল ভিসা অ্যাপ্লিকেশন ফরম পূরণ করতে হবে। অ্যাপ্লিকেশন শেষ করা হলে সর্বশেষ আপনাকে একটি পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করতে বলা হবে। এ ফাইলটি ডাউনলোড করুন এবং সংরক্ষণ করুন। প্রতি সপ্তাহে একদিন করে ইলেকট্রিক ড্র হয়ে থাকে। ড্র তে যার নাম আসবে তিনি এপয়েন্টমেন্ট পাবেন এবং তাকে ই মেইল মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে সকল তথ্য।

ড্র সিস্টেমে পোল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। যেমন ড্র সিস্টেমে লাখ লাখ টাকা খরচ করে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হয় না। আর ফেক ভিসার কারণে দৌড়ঝাপ করার সমস্যা হয় না। প্রথমেই এ বিষয়ে ক্লিয়ার করে দেয়া হয় বলে অনেকেই সময় এবং অর্থ বাঁচাতে পারে। আপনি যদি নিজে আবেদনের সিস্টেম বুঝেন তাহলে নিজের আবেদন করতে পারবেন আর যদি না পর্যন্ত কাউকে যে আবেদন করবেন। এ ক্ষেত্রে কোন ধরনের ফি প্রদান করতে হয় না শুধুমাত্র আপনি যাকে দিয়ে আবেদন করবেন তার পারিশ্রম একটু।

তবে এখানে একটি বড় ধরনের অসুবিধা দেখা যায় সময়ের ব্যাপার। আপনার সঠিক তথ্য দেওয়ার পরও পাঁচ থেকে ছয় মাস লেগে যেতে পারে অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাওয়ার বিষয়। প্রত্যেকদিন অল্প সংখ্যক মানুষকে এই অ্যাপয়েন্টমেন্ট দেওয়া হয়ে থাকে। তবে এর আগেও পেতে পারেন সেটি নির্ভর করবে আপনার ভাগ্যের উপর।

এই ছিল ড্র সিস্টেমে পোল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা‌ সংক্রান্ত সকল তথ্য। এ বিষয়ে কিছু প্রশ্ন জানবো। যা বিভিন্ন পাঠকরা প্রশ্ন করে থাকে আমাদেরকে। সকল প্রশ্নগুলো এবং উত্তরগুলো জেনে নেই।

ড্র সিস্টেমে এপয়েন্টমেন্ট পেতে কতদিন সময় লাগে?

নির্দিষ্ট কোন সময় নেই এর জন্য। ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে ড্র করা হয়ে থাকে। কতদিন পর্যন্ত সময় লাগবে সেটি বলা সম্ভব হয়নি। পাঁচ থেকে ছয় মাস পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে তবে ভাগ্য ভালো থাকবে এর আগেও করতে পারেন।

পোল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট কিসের জন্য কত টাকা খরচ হয়?

এ ভিসার জন্য খরচ হয়ে খুব কম পরিমাণ অর্থ করার চেয়ে থাকে। কিন্তু আবেদনের জন্য কোন টাকা খরচ হয় না যদি আপনি নিজের আবেদন করতে পারেন।

Read: মালয়েশিয়া ভিসা চেক পাসপোর্ট নম্বর

Jahid Hasan

আমি মোঃ জাহিদ হাসান। পেশায় একজন প্রফেশনাল কন্টেন্ট রাইটার। ফাজার নিউজের শুরু থেকেই আমি এখানে কাজ করে যাচ্ছি সততার সঙ্গে। বাংলাদেশের সব ধরনের নিউজ কাভার করে থাকি, আগামী দিনগুলোতে আপনাদের সামনে সকল খবরগুলো সততা যাচাই করে উপস্থাপন করার চেষ্টা করব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *