সেরা ১০ টি বাংলা মুভি | Best 10 Bangla Movie for 2023
বিনোদনের পাতায় আজকে রয়েছে সেরা ১০ টি বাংলা মুভি সম্পর্কে। বাংলা সিনেমা দেখতে পছন্দ করেন তারা আজকে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত দেখবেন। এখানে আলোচনা করা হচ্ছে বাংলাদেশের সকল শ্রেষ্ঠ সিনেমার তালিকা।
সিনেমা বা মুভি দেখতে পছন্দ করে থাকেন। বাংলাদেশের মানুষেরা বাংলার মুভি দেখতে অনেক বেশি পছন্দ করে থাকে। কোন মুভিগুলো সেরা বা কোন মুভি গুলো দেখতে অনেক ভালো লাগবে সে বিষয়টি জানানোর জন্য অনেকে আগ্রহ প্রকাশ করে থাকে। নতুন সিনেমার চেয়ে পুরাতন সিনেমা গুলো দেখতে বেশি উপভোগ করে। আগেকার মুভি গুলো ছিল অত্যন্ত সহজ এবং সাবলীল যার কারণে অনেকের মনোরম উপভোগ করার জন্য এই মুভি গুলো দেখে। আমরা বাংলার চলচ্চিত্র জগৎ থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত শ্রেষ্ঠ ১০টি বাংলা চলচ্চিত্র নিয়ে এখন আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করব।
Best 10 Bangla Movie for 2023 | সেরা ১০ টি বাংলা মুভি
জাতির একটি রূপকার
বাংলাদেশের জনপ্রিয় চলচ্চিত্রের তালিকা অন্যতম জায়গা দখল করে নিয়েছে বঙ্গবন্ধু জাতির একটি রূপকার। ২০২৩ সালে অক্টোবর মাসে এটি মুক্তি পায়। মূলত এই সিনেমাটিক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কেন্দ্র করে তৈরি করা হয়েছে। বাল্য জীবন থেকে শুরু করে মৃত অবধি সকল ঘটনাকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এই মুভির মাধ্যমে। এখানে মূল চরিত্রে অভিনয় করেছে অর্থাৎ বঙ্গবন্ধু চরিত্রে বায়োপিক হিসেবে কাজ করেছে আরো আরোফিন শুভ।
জীবন থেকে নেওয়া
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাসে অন্যতম একটি মুভি হচ্ছে জীবন থেকে নেওয়া। এটি ১৯৭০ সালে মুক্তি পেয়েছিল। অভিনয় করেছে নায়করাজ রাজ্জাক। তৎকালীন সময়ে চলচ্চিত্রের প্রেমে পড়ে যায় অনেকে। এখনো আপনি এই মুভিটি দেখেন তাহলে অনেক জনপ্রিয়তা উপভোগ করবেন তখন কি রকম ছিল। এটি একটি পারিবারিক সিনেমা যায়ে কারো সাথে বসে আপনারা উপভোগ করতে পারেন এই সিনেমা।
পথের পাঁচালী
আপনারা হয়তো কোন কাব্যগ্রন্থ অথবা বয়ে পড়েছেন পথের পাঁচালী নামে একটি গল্প। যদিও এটি ১৯৫৫ সালের মুক্তি পেয়েছিল তবুও বাংলার ইতিহাসে সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি চলচ্চিত্র হচ্ছে এই পথের পাঁচালী। তাই সেরা ১০ টি বাংলা মুভির তালিকায় স্থান দখল করে নিয়েছে এটি। বিদেশি ক্যাটাগরিতে এটি অস্কারপ্রাপ্ত প্রথম বাংলা চলচ্চিত্র ছবি। চাইলে আপনি এই সিনেমাটি অবশ্যই দেখে নিতে পারেন।
হীরক রাজার দেশে
১৯৮০ সালে মুক্তি পাওয়া হীরক রাজার দেশে এবং বাইরের দেশে শোরগোল পাড়িয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশসহ ভারতের বিভিন্ন ধরনের রাজ্যের। বাংলাদেশ বসবাস করেন তিনি একবার হলেও এই মুভিটি নাম শুনেছেন এবং এর গল্প শুনেছেন। পুরাতন মুভির এন্টারটেইনমেন্ট উপভোগ করতে চান তাহলে অবশ্যই একবার হলেও হীরক রাজার দেশে এই মুভিটি আপনারা দেখে নেবেন।
পদ্মা নদীর মাঝি
আপনি যদি পড়াশোনা করেন তাহলে অবশ্যই এ ছবিটির নাম শুনেছেন। এটি একটি চলচ্চিত্র নয় বিরাট বড় একটি সাহিত্য যা বয়ে রয়েছে এবং অনেকেই পড়েছেন। এছাড়াও কপিলার সেই ডায়লগ আপনারা হয়তোবা সোশ্যাল মিডিয়াতে দেখেছেন। মূলত এ নাটকটি হচ্ছে বাংলার সেই সময়কালের অর্থনৈতিক অবস্থা তুলে ধরা হয়েছে। নদীর মাঝিদের অবস্থা সম্পর্কে অর্থাৎ জীবন দুঃখ এগুলো নিয়েই ফুটে তোলা হয়েছে এই মুভিটিতে। অভিনেতা অভিনেত্রীদের চরিত্র আরো বেশি ফোটা ওঠার কারণে সিনেমাটি হয়েছে আরো আকর্ষণীয়।
মেঘে ঢাকা তারা
আপনি যদি ৯০ দশকের সেরা ১০ টি বাংলা মুভি খুঁজে থাকেন তাহলে এর মধ্যে অবশ্যই পাবেন মেঘে ঢাকা তারা এই মুভিটি। এটি হচ্ছে মূলত ঋত্বিক ঘটকের দেশভাগের একটি ট্রাজেডি মুভি। সবচেয়ে আকর্ষণীয় ব্যাপার হচ্ছে এ ছবির মাধ্যমে ঋত্বিক ঘটকের ক্যারিয়ার শুরু। এখানে আরও অভিনয় করেছিলেন বিখ্যাত অভিনেত্রী সুপ্রিয়া চৌধুরী।
গরম হাওয়া
এপার বাংলা এবং ওপার বাংলার সবচেয়ে জনপ্রিয় ছবিগুলোর তালিকা রয়েছে এই গরম হাওয়া। ভারত বিভাজনের পর এক মুসলিম ব্যবসায়ী এবং তার পরিবারকে কেন্দ্র করে এই ছবিটি তৈরি করা হয়েছিল। ভারতের সেন্সর বোর্ড থেকে ছবি মুক্তি দেওয়া হয়। এই সিনেমা মুক্তি হওয়ার পর সমালোচকরা পর্যন্ত দেখে প্রশংসা করতে বাধ্য হয়েছে। আপনি যদি এই মুভিটি দেখেন তাহলে অবশ্যই আপনার মন প্রশংসা করতে বাধ্য হবে।
বেদের মেয়ে জোসনা
বলা হয়ে থাকে বাংলা মুভির সর্বকালের সেরা সাফল্যের ছবি এবং বিশেষ করে আয়ের দিক থেকে রেকর্ড পর্যায়ে এখন পর্যন্ত রয়েছে বেদের মেয়ে জোসনা। এখানে অভিনয় করেছে আধুনিক নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। প্রায় বিশ কোটি টাকার উপরে আয় করেছে এই মুভিটি। যা বাংলার ইতিহাসের সর্বোচ্চ। এ মুভিটি ছোট থেকে বয়স্ক পর্যন্ত সবাই দেখতে পছন্দ করে এবং এখনো উপভোগ করে যাচ্ছে মানুষজন। সুতরাং আপনি এই মুভিটিও দেখতে পারেন।
কেয়ামত থেকে কেয়ামত
৯০ দশকের সিনেমার তালিকায় আরেকটি জনপ্রিয় নায়ক হচ্ছে সালমান শাহ। বলে থাকেন তিনি যদি আজ অব্দি বেঁচে তাহলে তিনি বলিউডকে ছাড়িয়ে যেতে পারতেন। তার তখনকার সময়কার স্টাইলগুলো এখনো পর্যন্ত চলমান রয়েছে বাংলাদেশ সহ ভারতে। প্রত্যেকটি সিনেমার জনপ্রিয়তা ছিল অনেক বেশি। সকল সিনেমার মধ্যে একটি হচ্ছে কেয়ামত থেকে কেয়ামত।
আমার বন্ধু রাশেদ
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সিনেমাগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি মুভি হচ্ছে আমার বন্ধু রাশেদ। সেরা ১০ টি বাংলা মুভির তালিকায় এটি দখল করে নিয়েছে অনেক আগেই। রাশেদকে কেন্দ্র করে এই মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ছবি তৈরি করা হয়েছে। এই ছবি তৈরীর সময়কাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত যেই দেখেছে সেই প্রশংসা করতে বাধ্য হয়েছে। আপনি যদি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক মুভি গুলো দেখতে চান বাংলাদেশের তাহলে একবার হলেও এ মুভিটি দেখে নেবেন।
