দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন তফসিল ঘোষণা
অবশেষে গতকাল জাতীয় নির্বাচন কমিশন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন তফসিল ঘোষণা করেছেন। এই ঘোষণা হওয়ার পর থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। অর্থাৎ কবে নির্বাচন হবে এবং কবে মনোয়নপত্র পাওয়া হবে সে বিষয় সম্পর্কে।
এবছরের শুরু থেকেই রাজনীতি প্রাঙ্গনে সবচেয়ে বেশি আলোচনার বিষয় ছিল এই তফসিল ঘোষণা নিয়ে। এইতো এইতো কয়েকদিন আগ পর্যন্ত বিএনপির জামাত হরতাল ঘোষণা করেছিল এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। আর সাধারণ মানুষ সহ সবাই অপেক্ষা করছিল কখন নির্বাচন সম্পর্কে সর্বশেষ আপডেট দেওয়া হয়। কেননা তত্ত্বাবধায়ক সরকার দেওয়া হবে কিনা সে বিষয় নিয়ে জনগণের আগ্রহ ছিল প্রচুর। আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করব গতকাল ঘোষণা দেওয়ার যাবতীয় সকল তথ্যগুলো। আসুন তাহলে আমরা কথা না বাড়িয়ে আলোচনার মূল প্রসঙ্গে চলে যায় সরাসরি।
নির্বাচন কমিশন দ্বারা ঘোষিত হয়েছে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন তফসিল
গতকাল ১৫ ই নভেম্বর বিকেলের দিকে ঘোষণা দেওয়া হয় অফিশিয়াল ভাবে এই সংসদ নির্বাচন এর তফসিল সম্পর্কে। এখানে উল্লেখ করা হয় আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ শুরু হবে। অন্যদিকে মননপত্র দাখিলের সময় হচ্ছে আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে এবং মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে ১ থেকে ৪ তারিখে। অর্থাৎ ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে। এমনকি মনোনয়ন পত্র ের আপিল এবং প্রত্যাহারের জন্য এ কার্যক্রমও চলবে 6 ডিসেম্বর থেকে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। অন্যদিকে প্রতীক বরাদ্দ করা হবে ১৮ই ডিসেম্বর। পরবর্তী সময়ে নির্বাচন প্রচারণা করা যাবে ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত।
জাতীয় নির্বাচন কমিশন থেকে বলা হয় এবারে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে 66 জনকে অন্যদিকে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা 599 জন। এমনটাই সরাসরি ঘোষণা দেয় তাদের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন তফসিল গতকালকে। এদিকে এটি ঘোষণা দেওয়ার পর বাংলাদেশের বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ শুভেচ্ছা প্রকাশ করেছে এবং আনন্দ মিছিল বের করেছিল। আবার অন্যদিকে বিএনপি জামাতের দেখা দিয়েছে বিরূপ মনোভাব। তারা রাতের মধ্যে বেশ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছিল এবং আগামী দুই দিনের জন্য হরতাল ঘোষণা করেন।
জনসাধারণের মধ্যে দেখা দিচ্ছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। তবে সাধারণ মানুষের মধ্যেও সন্তুষ্টি দেখা দিয়েছে এবার দ্বাদশ সংসদ তফসিল ঘোষণা নিয়ে। আশা করা যাচ্ছে এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনাদের এই বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা পেয়েছেন।