কালোবাজারিতে বিপিএলের টিকিট কিনতে হচ্ছে চড়ামূল্যে

বিপিএলের টিকেট কালোবাজারিতে ছড়িয়ে গিয়েছে। প্রতিটি টিকিটের মূল্য তার বিপরীতের প্রায় দ্বিগুন পরিমাণ দাম চাচ্ছেন সিন্ডিকেটেরা। আজকের এই প্রতিবেদনে সে বিষয়ে সম্পর্কে তুলে ধরা হয়েছে।

শুরু হয়ে গিয়েছে ১৯জানুয়ারি রোজ শুক্রবার থেকে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রিমিয়ার লিগ বিপিএল। প্রথম দিকে বিপিএলের স্টেডিয়াম গুলোতে তেমন দর্শকদের সাড়া না পেলেও বর্তমানে সময়ে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে গ্যালারিতে। বিপিএলের প্রথম ম্যাচের পরেই দর্শকদের অভিযোগ উঠে এসেছে তারা পর্যাপ্ত পরিমাণ সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে না। যেমন এক গ্লাস পানির দাম ১০ টাকা আবার এক লিটার পানি দাম ১০০ টাকা। আবার এক গ্লাস কোমল পানির দাম রাখা হচ্ছে ২০ টাকা। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন দর্শকরা। কোন নিয়মের তোয়াক্কা না করে বাড়িয়ে দিয়েছে সকল জিনিসের দাম।

বিপিএলের টিকেট কিনতে হচ্ছে এখন চড়ামূল্যে কালোবাজারির হাত থেকে

দ্বিতীয় ম্যাচের দিন অনেকের অভিযোগ ছিল তারা অনলাইনে টিকিট ক্রয় করলেও সেটি তারা কাউন্টারেকে পাচ্ছেন না। কাউন্টারে গিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে সেখানে বলা হচ্ছে তাদের টিকেট নেওয়া হয়েছে অর্থাৎ অন্য একজন তাদের টিকিটটি নিয়ে গেছেন ক্রয় করে। অভিযোগকারীরা বলেছেন তাদের সকল তথ্য দিয়ে এটিকেট কেনা হয়েছে তাহলে অন্য জন কিভাবে এই টিকেট নিয়ে গেল। এই বিষয় নিয়ে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে কারণ অনেকেই এসেছে দূর-দূরান্ত থেকে এই খেলা দেখার জন্য।

আবার গত খেলাতে দেখা গিয়েছে স্টেডিয়ামের বাইরের কিছু দূরে ভদ্রমহিলা এবং পুরুষেরা টিকেট বিক্রি করছে কালোবাজারিতে। প্রতিটি টিকিটের মূল্য দ্বিগুণ দামে চাওয়া হচ্ছে এবং তা বিক্রি করছে দর্শকদের কাছে। সংবাদমাধ্যমগুলো তাদের সাথে কথা বলতে গেলে তারা কথা এড়িয়ে যায় এবং সঠিক কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনি। মোটকথা এখন কালোবাজারিতে টিকিট পাওয়া যাচ্ছে খুব সহজেই চড়ামূল্যে। এদিকে বিপিএলের টিকেট কিনতে হচ্ছে এখন চড়ামূল্যে দেখে ক্ষোভে ফেটে উঠেছে সাধারণ দর্শকরা।

Jahid Hasan

আমি মোঃ জাহিদ হাসান। পেশায় একজন প্রফেশনাল কন্টেন্ট রাইটার। ফাজার নিউজের শুরু থেকেই আমি এখানে কাজ করে যাচ্ছি সততার সঙ্গে। বাংলাদেশের সব ধরনের নিউজ কাভার করে থাকি, আগামী দিনগুলোতে আপনাদের সামনে সকল খবরগুলো সততা যাচাই করে উপস্থাপন করার চেষ্টা করব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *