কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রপাতে করণীয়
৪৩ বছরের রেকর্ড ছাড়িয়েছে বর্তমানের এই কালবৈশাখী ঝড় তান্ডব তবে ভয়ের কিছু নেই ভরসা একমাত্র আল্লাহ আল্লাহ যা করেন সবার মঙ্গলের জন্য করেন তবে আপনাকে আমাদেরকে সচেতন হতে হবে। বর্তমানে সারা বাংলাদেশ জুড়ে যে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে মানব জীবন তথা জীবজন্তুর শ্বাস নেয়া একটি নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছে কেন এই তাপপ্রবাহ ও কালবৈশাখী ঝড়ের তান্ডব বজ্র বৃষ্টি কেন প্রকৃতির এই বিরূপ প্রতিক্রিয়া নিশ্চয় একটি কারন রয়েছে।
কালবৈশাখী ঝড় হবে এটা আল্লাহর এক প্রদত্ত দান তবে কালবৈশাখী ঝড়ের তান্ডবে অনেক বাড়ি ঘর ভেঙে যাচ্ছে অনেকেই আল্লাহর ডাকে সাড়া দিচ্ছেন গাছ পড়ে ঘর পড়ে আবার অনেক বজ্র পাতের কারনে অকালে মৃত্যুবরণ করতে হচ্ছে তাই এই কালবৈশাখী ঝড়ে আপনাকে ও হতে হবে সচেতন।
কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রপাতে করণীয়
- আকাশ কালো দেখলে অর্থাৎ মেঘাচ্ছন্ন আকাশ দেখলে ঘরের বাইরে বের হবেন না আপনি ও আপনার পরিবারের সবাই ঘরের ভেতরে থাকবেন।
- যদিও একান্ত বাইরে বের হতে হয় তাহলে ঝড়ের সময় ভালো ছাতা ব্যবহার করবেন বজ্র পাতের একটু আবাস পেলে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাবেন।
- বজ্র পাতের একটু আবাস পেলে বড় বড় গাছের নিচে থাকবে না ছাদের উপরে যাবেন না ঘরের ভেতরে অবস্থান করবেন ।
- ছিড়ির পাশে বসবে না বা বেলকুনিতে অবস্থান করবেন না।
- কারেন্ট এর তারের নিচে থাকবে না কেননা অনেক সময় কালবৈশাখী ঝড়ের তান্ডবে অতিরিক্ত বাতাস হওয়ার জন্য তার ছিঁড়ে যায় তাই হঠাৎ না বুঝে এসব জায়গায় অবস্থান করবেন না।
- যদি আপনি আপনারা কোন যানবাহনের ভেতরে থাকেন তাহলে যাবাহন টিকে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাবেন।
- এছাড়াও যার যার ধর্ম অনুযায়ী আল্লাহকে ডাকবেন কেননা সবকিছুর মালিক মহান আল্লাহ তায়ালা তিনি ঝড় দিবেন ঝড় থামাবেন ।
আমাদের মানব সৃষ্ট কারনেই প্রকৃতি আজ বিরূপ কেননা নদ নদী খাল বিল আমরা ভরাট করে ফেলছি বড় বড় গাছপালা কেটে ফেলছি পাহাড় টিলা ধ্বংস করে ফেলছি এসব বিভিন্ন কারনে হচ্ছে আমাদের এই করুন দশা অতিরিক্ত বিল্ডিং বানানো পাহাড় টিলা ভেঙে ফেলা গাছপালা কেটে ফেলে এসব বন্ধ করতে হবে নিরাপদ জীবন যাপন করতে হলে আমাদেরকে ও আরো সচেতন হতে হবে।