সপ্তম শ্রেণীর শরীফ শরীফার গল্পে কি রয়েছে?
এই প্রতিবেদনে এখন আমরা জানবো সপ্তম শ্রেণীর শরীফ শরীফার গল্পে কি রয়েছে? ঘটনা কি ঘটেছে এবং কি কারণে সারা বাংলাদেশ জুড়ে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত আলোচনা শেষে পজিশনে রয়েছে। এই সকল রহস্য গুলোই উদঘাটন করা চেষ্টা করবো আমরা এখন।
ঘটনাটি শুরু হয়েছে সর্বপ্রথম ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আসিফকে নিয়ে। ট্রান্সজেন্ডার প্রতিবাদস্বরূপ বইয়ের দুই পৃষ্ঠা ছিড়ে আবার দোকানদারকে তা বিক্রির জন্য বলতে বলেছেন। অবশ্য তিনি শুধু মাত্র দুই পৃষ্ঠা এবং বই নিজের অর্থ দিয়ে কিনলে তারপর এই প্রতিবাদ করতে বলেছেন। এরপর থেকে সোশ্যাল মিডিয়াতে দারুণ আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে এখন পর্যন্ত। এই বিষয়কে কেন্দ্র করে অনেককে বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করে আসছে। এই আলোচনায় আবার ঘি ঢেলেছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়। কারণ হঠাৎ করে শিক্ষক আসিফকে তারা কলেজে প্রবেশের জন্য নিষেধ করেন। তাকে চাকরি থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। তখন থেকে তিনি আরো বেশি সমালোচনার শিকার হন। এ বিষয় নিয়ে এখন আলোচনা হচ্ছে সারা বাংলাদেশ জুড়ে।
সপ্তম শ্রেণীর শরীফ শরীফার গল্পে কি রয়েছে?
এখন মূল কথা হচ্ছে এই বইতে কি এমন হয়েছে যার কারণে এত আলোচনা সমালোচনা। সপ্তম শ্রেণীর ইতিহাস ও সমাজ বিজ্ঞান বইয়ের প্রথম দিকে দেওয়া রয়েছে ট্রান্সজেন্ডার এবং হিজড়াদের একটি গল্প। মূলত গল্পটি হচ্ছে শরীফ থেকে শরিফা হওয়ার। মূলত শরীফ একজন ছেলে। সে ভাবতে শুরু করে জন্য এবং সে তাকে মেয়ে ভাবতে শুরু করে। এক সময় তিনি নিজের পরিবার ছেড়ে অন্য জায়গায় থাকতে শুরু করেন এবং মাঝে তার পরিবারের সাথে দেখা করতে আসেন। তার পরিবারের সাথে দেখা করতে এসে বিভিন্ন জনের সাথে তার সেখানকার জীবনের কথা বলেন।
এই গল্প থেকে বোঝা যায় তার শারীরিকভাবে পরিবর্তন না হলেও দিতে মানসিকভাবে পরিবর্তন হয়ে গেছে। আর এখানে হিজড়া সম্প্রদায়ের কথা বলা হলো উল্লেখ করা হয়েছে ট্রান্সজেন্ডার। যেটা মূলত ইসলামের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ অবৈধ। এ বিষয় নিয়ে প্রচুর সমালোচনার শিকার হচ্ছেন। সপ্তম শ্রেণীর শরীফ শরীফার গল্পে কি রয়েছে সম্পর্কে জানতে পারছেন আশা করা যায়।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আসিফ এর জীবনী
মূলত এখানে হিজরা সম্প্রদায়কে নিয়ে নয়, ট্রান্সজেন্ডার নিয়ে বেশি কথা বলা হচ্ছে। এই বিষয়ে প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে। আশা করি আপনারা এ বিষয় সম্পর্কে পরিষ্কার সকল ধারণা পেয়েছেন।