বাংলাদেশের সেরা ১০টি ব্যাংক | Top 10 Bank in Bangladesh
বাংলাদেশের সেরা ১০টি ব্যাংক Top 10 Bank in Bangladesh: মানুষের চলার পথে, এই পৃথিবীতে জীবনযাপনের জন্যে সববচেয়ে বেশি যে জিনিসের প্রয়োজন হয় তা হলো অর্থ। অর্থ ছাড়া বর্তমানে মানুষের জীবন কল্পনা করা যায় না। মানুষ অর্থের পিছনে হন্যে হয়ে ছুঠছে। আর অর্থের সুরক্ষার জন্যে মানুষের চোখ থেকে সেরা ব্যাংকের দিকে। আজ আমরা আলোচনা করব বাংলাদেরশের সেরা ১০টি ব্যাংক নিয়ে।
বাংলাদেশের সেরা ১০টি ব্যাংক
১, ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড।
আপনি ইসলামি শরিয়াহ মোতাবেক লেনদেন করতে ইচ্ছুক। তাহলে আপনার জন্য ইসলামী ব্যাংক হবে সবচেয়ে কার্যকরী ঠিকানা। ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশে তথা দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ ব্যাংক, যেটি ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক পরিচালিত হয়। ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্টা হয় ১৯৮৩ সালের ১৩ মার্চ। ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড এর সংক্ষিপ্ত নাম হচ্ছে আইবিবিএল।
ইসলামী ব্যাংক সারা বাংলাদেশ জুড়ে বিস্তৃত। ইসলামী ব্যাংকের শাখা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও রয়েছে। ইসলামী ব্যাংকের সর্বমোট শাখা হলো ৪৫০ টি। আপনি যদি টাকা সঞ্চয় করতে চান, তাহলে ইসলামী হলো সেরা ব্যাংকগুলোর প্রথম সারিতে। ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খোলার জানতে ভিজিট করুন
২, জনতা ব্যাংক লিমিটেড
জনতা ব্যাংক লিমিটেড একটি সরকারি মালিকানাধীন ব্যাংক। বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ব্যাংক। জনতা ব্যাংক আমার ব্যাংক এই স্লোগান নিয়ে ব্যাংকটি প্রতিষ্টা হয় স্বাধীনতার পরে।
জনতা ব্যাংকের শাখা কতটি?
জনতা ব্যাংকের শাখা ৮৪৪ টি। জনতা ব্যাংক শুধু বাংলাদেশে সার্ভিস দিচ্ছে নদ, দেশের বাহিরে আরব আমিরাতেও জনতা ব্যাংক সেবা দিচ্ছে। আরব আমিরাতে জনতা ব্যাংকের চারটি শাখা রয়েছে।
এখন যদি আপনি টাকা জমা করতে চদন, বিশ্বস্ত ব্যাংক খুজছেন। তাহলে জনতা ব্যাংক হতে পারে আপনার সেই টাকা আমানত রাখার এক বিশ্বস্ত ঠিকানা।
৩। সোনালী ব্যাংক লিমিটেড
যদি প্রশ্ন করা হয় বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ব্যাংক কোনটি? তাহলে সবাই অকপটে স্বীকার করবে সোানলী ব্যাংক লিমিটেড। হ্যা, বাংলাদেশের সরকারি মালিকানাধীন সবচেয়ে বড় ব্যাংক হল সোনালী ব্যাংক লিমিটেড।
সোনালী ব্যাংকের প্রতিষ্টাকাল
সোনালী ব্যাংক প্রতিষ্টা হয় স্বাধীনতার এক বছর পর ১৯৭২ সালে।
সোনালী ব্যাংকের শাখা
সোনালী ব্যাংক বাংলাদেশ বৃহৎ ব্যাংক। ব্যাংকটির সেবা গ্রাম পর্যন্ত বিস্তৃত। শুধু তাই নয় দেশের বাহিরেও সোনালী ব্যাংকের শাখা রয়েছে। সোনালী ব্যালকের মোট শাখা হলো ১২২৬ টি। এর মধ্যে বিদেশি রয়েছে সোনালী ব্যাংকের শাখা ২টি। এর গ্রামে রয়েছে ৭৪৫ টি।
সোনালী ব্যাংকের কর্মচারী
সেনালী ব্যাংক যেতেতু বাংলাদেশের বৃহত্তম ব্যাংক। তাই সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তা বা কর্মচারীও বেশি। অনেক বেশি। সোলানী ব্যাংকের কর্মচারী হলেন ১৮২৬৭ জন।
তাই আপনার কষ্টোপার্জিত টাকা জমা রাখার বিশ্বস্ত ঠিকানা হতে পারে সোনালী ব্যাংক।
৪। ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড
বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ সেবাদানকারী ও নেটওয়ার্কিং ব্যাংক হলো ডাচ বাংলা ব্যাংক। ডাচ বাংলা ব্যাংকে সংক্ষেপে ডিবিবিএল বলা হয়।
ডাচ বাংলা ব্যাংকের প্রতিষ্টা
ডাচ বাংলা ব্যাংক প্রতিষ্টা হয় যৌথভাবে। ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের যৌথ প্রচেষ্টায় ডাচ বাংলা ব্যাংক প্রতিষ্টা হয়।
Also: Trust Money app Registration
ডাচ বাংলা ব্যাংকের প্রতিষ্টাতা
ডাচ বাংলা ব্যাংক প্রতিষ্টা করেন শাহাবুদ্দিন। ডাচ বাংলা ব্যাংক তার কার্যক্রম শুরু করে ৩জুন ১৯৯৬ সালে।
ডাচ বাংলা অত্যন্ত সুচারুরুপেনতার সেবা দিচ্ছে। বাংলাদেশের দুই এক্সচেঞ্জ, ঢাকা ও চট্টগ্রামে নিবন্ধিত।
৫। ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড
বাংলাদেশের আরেকটি প্রধান সারির ব্যাংক হচ্ছে ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড। ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড বেরসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মধ্যে অন্যতম। ইস্টার্ন ব্যাংক প্রথমে ১৯৯২ সালে বিসিসিআই নামে পথচলা শুরু করে। পরবর্তীতে ইস্টার্ন ব্যাংক নামে রুপান্তরিত হয়। ইস্টার্ন ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম
৬।গ্রামীণ ব্যাংক
বাংলাদেশের তৃণমূল পর্যায়ে অনেকে কাজ করছেন। ব্যাংকিং সেবা পৌছে দিচ্ছেন। কিন্তু গ্রামীণ ব্যাংকের মত কেউ প্রভাব বিস্তার করতে পারোন নি। গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্টা করেন নোবেল বিজয়ী ড. ইউনুস। গ্রামীণ ব্যাংক তার যাত্রা শুরু করে ১৯৮৩ সালে। ২০০৬ সাল গ্রামীণ ব্যাংকের জন্য এক স্মরণীয় সময়। এবছর গ্রামীণ ব্যাংক নোবেল বিজয়ী হয়। গ্রামীণ ব্যাংক লোন পদ্ধতি
৭।এবি ব্যাংক লিমিটেড
এবি ব্যাংক মানে হলো পূর্ব আরব বাংলাদেশ ব্যাংক। এবি ব্যাংক ১৯৮২ সালের ১২ এপ্রিল প্রাথমিকভাবে যাত্রা শুরু করে। ব্যাংকটি হলো প্রাইবভেট এরিয়া ব্যাংক। ব্যাংকটির পূর্ব নাম ছিল পূর্ব আরব বাংলাদেশ ব্যাংক। পরবর্তীতে নাম পরিবর্তন করে ব্যাংকটির নাম রাখা হয় এবি ব্যাংক। এবি ব্যাংকের সুবিধাসমূহের মধ্যে অন্যতম হলো ইন্টারনেট পেমেন্ট। মাস্টার কার্ড। নেস্কট কার্ড ভিসা কার্ড।
৮। ব্র্যাক ব্যাংক
ব্র্যাক ব্যাংক এর কার্যক্রম ব্যাপক। বাংলাদেশের গ্রাম পর্যায়ের লোক এ সেবা পাচ্ছে। ব্রাক ব্যাংক প্রতিষ্টা করেন স্যার ফজলে হাসান আবেদ। ব্রাক ব্যাংক ক্ষুদ্র ও মাঝারি মানুষের জন্য কাজ করে। ব্র্যাক ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম
৯।পূবালী ব্যাংক লিমিটেড
পূবালী ব্যাংক সরকারী একরি বাণিজ্যিক ব্যাংক। ১৯৭২ সালে পূবালী ব্যাংক তার কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমানে পূবালী ব্যাংকের শাখা ৩২ টি জেলায় রয়েছে। পূবালী ব্যাংকে সংক্ষেপে পিবিএল বলা হয়। পূবালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম
১০। রুপালী ব্যাংক লিমিটেড
রুপালী ব্যাংক লিমিটেড বাংলাদেশের সরকারের অধিনে বৃহৎ বাণিজ্যিক ব্যাংক। রুপালী ব্যাংক ১৯৭২ সালে তার কার্যক্রম শুরু করে। রুপালী ব্যাংকের বর্তমান কর্মচারী ৫৪৯০ জন। রুপালী ব্যাংকের বর্তমান চ্যায়ার্যান কাজী ছানাউল হক।
অন্যান্য প্রতিবেদন: কিভাবে নেক্সাস পে রেজিস্ট্রেশন করবেন