গ্রামীণফোন বয়কট স্লোগান দিচ্ছে সাধারণ জনগণরা
এখন পর্যন্ত সোশ্যাল মিডিয়াতে রয়েছে গ্রামীণফোন বয়কট স্লোগান এবং হ্যাশট্যাগ। আরো জোরালোভাবে এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে সাধারণ জনগণকে। আমরা এ বিষয় সম্পর্কে এখন জেনে নেই।
বাংলাদেশের জনপ্রিয় মোবাইল অপারেটর মধ্যে অন্যতম আরেকটি হচ্ছে গ্রামীণফোন। এর নেটওয়ার্ক গ্রামের দুর্গম প্রান্ত থেকে শুরু করে শহর অঞ্চলের প্রতিটি সেক্টরে এর বিস্তৃতি রয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি সময়ে এই গ্রামীণফোন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা এসেছে এবং সমালোচিত হয়েছেন বেশ কয়েকবার। এক যুগের অধিক সময় ধরে এদের সর্বনিম্ন রিচার্জ দশ টাকা থাকলেও কয়েক বছর আগে করা হয়েছে সর্বনিম্ন ২০ টাকা রিচার্জ। বিভিন্ন অফারের এই রিচার্জ ভালোভাবে কিনা যেত এরকম টাকায় কিন্তু সম্প্রীতি সময় আবার বৃদ্ধি করে দেওয়া হয়েছে।
গ্রামীণফোন বয়কট স্লোগান দিচ্ছে সাধারণ জনগণরা
এইতো সপ্তাহখানেক আগে ঘোষণা দিয়েছে তারা ১০ জনুয়ারি থেকে সর্বনিম্ন রিচার্জ এ ৩০ টাকা করে দিবে। বিষয়টি নিয়ে সাধারণ জনগণের মধ্যে বেশ আলোচনা হয় এবং সমালোচনা হয়। তারা প্রতিবাদ শুরু করে এবং ফেসবুকে, সোশ্যাল মিডিয়া গুলোতে দুর্দান্ত ভাবে তারা প্রতিরোধ করে তোলে। কিন্তু কোনোভাবেই তারা সে ব্যাপারটি নজরে না নিয়ে চালু করে দিয়েছে সর্বনিম্ন রিচার্জ। এদিকে জনগণ আরো খুবই ফেটে উঠেছে এবং এর প্রতিক্রিয়া বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে।
বিশেষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন সরকারিভাবে নির্ধারণ করে দেয়া হয়নি অথবা এমন কোন নিয়ম নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়নি সর্বনিম্ন কত টাকা রিচার্জ করতে হবে। সম্পূর্ণ নির্ভর করে যার যার মোবাইল অপারেটরের নিয়ম অনুসারে। কিন্তু জনগণের ভোগান্তি এবং অন্যান্য বিষয় অনুসারে সকল মোবাইল অপারেটরদেরকে ডেকে এ বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। গ্রামের মানুষদের এর ভোগান্তির শিকার বেশি হয় এমনটাই জানিয়েছেন অনেকে। গ্রামের মানুষ এবং শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে এর মূল্য হয়তো বা সরকারিভাবে নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। কারণ অনেকে আছে যারা মোবাইলে রিচার্জ করতে এবং মিসকল অথবা অল্পতেই কথা শেষ করে দিত টাকার সমস্যার কারণে। তাই খুব শীঘ্রই এই বিষয় নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন তারা। এখন পর্যন্ত গ্রামীণফোন বয়কট স্লোগান দিয়ে যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া গুলোতে বিভিন্ন জনগণরা।
আরো পড়ুন- বয়কট গ্রামীণফোন সোশ্যাল মিডিয়াতে ঝড়