আরাকান আর্মি ক্যাম্প দখল করা ঘটনা নিয়ে বাংলাদেশের চিন্তিত সীমান্তবর্তী মানুষ

Jahid Hasan

এবার আরাকান আর্মিরা ক্যাম্প দখল করলো। নিশ্চিত হওয়া গেছে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সোর্সের মাধ্যমে। তাদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের ঘটনা অনেকটা বিচলিত করে দিয়েছে সাধারণ মানুষ থেকে বিশেষজ্ঞদের পর্যন্ত।

আরাকান আর্মি কারা?

সবার মনে প্রথমে প্রশ্ন আসে এরা কারা এবং কি চায় তাদের সে বিষয়টি সম্পর্কে। মূলত তারা হচ্ছে রাখাইন রাজ্যে অর্থাৎ আরাকান একটি অঞ্চলের বিদ্রোহী জনগোষ্ঠী। কি জনগোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠা হয় ২০০৯ সালের ১০ এপ্রিলে। যাকে ইংরেজিতে বলা হয় ইউনাইটেড লীগ অফ আরাকান। এদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার নেওয়া। প্রায় একযুগ সময় হয়ে গিয়েছে তারা এই দাবি উত্থাপন করছে এবং তারা এ দাবির জন্য লড়াই করে যাচ্ছেন।

কোন দিকে রাখেন রাজ্যের আয়তন হচ্ছে ৩৬ হাজার ৭৬২ বর্গ কিলোমিটার। আর এই অঞ্চলটি অবস্থিত বাংলাদেশের চট্টগ্রাম অঞ্চলের পাশেই। এই অঞ্চলে বসবাস করতেন অনেক বাঙালি মুসলমানও তবে এর পরিমাণ বর্তমানে অনেক অংশ কমে গিয়েছে।

আরাকান আর্মিরা দখল করে নিয়েছে ক্যাম্প

গত শনিবার বিকেলের দিক থেকেই চট্টগ্রামের অঞ্চলগুলোতে বেশ অগ্রসর হচ্ছিল আরাকান সেনাবাহিনীরা। রবিবার সকাল থেকেই টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছিল এবং একসময় তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। তারা যে ক্যাম্পে দখল করেন সেটি হচ্ছে মিয়ানমারের একটি ক্যাম্প। মিয়ানমার থেকে অনেক মানুষ প্রবেশ করতে শুরু করে বাংলাদেশে আশ্রয়ের জন্য। তাদেরকে আক্রমণের জন্য বাংলাদেশের প্রবেশ করতে শুরু করে এই আরাকান আর্মিরা।

প্রাক্তন বিজিবির এক সদস্য জানান যদি এখন থেকেই বাংলাদেশ বিজিবি যদি কঠোর অবস্থান না করে মিয়ানমার এবং আর্মিদের বিরুদ্ধে তাহলে পরবর্তী সময়ে বেশ ঝামেলা করতে হবে বাংলাদেশের। এখন থেকেই সীমান্তবর্তী অঞ্চল সমূহতে বিজিবিদেরকে চূড়ান্তভাবে মনোনীত করতে হবে এবং তাদের কথার হতে হবে। তা না হলে ভবিষ্যতে খারাপ কিছু সম্ভাবনা হওয়ার থাকবে।

এদিকে আরাকান আর্মি ক্যাম্প দখল করা ঘটনা নিয়ে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মানুষ চিন্তিত দেখা গিয়েছে। এদেরকে আশ্বস্ত এবং নিরাপত্তা দিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনাকে আরো জোরদার করার অনুরোধ করা হয়েছে।

Share This Article