শিক্ষক আসিফের হাতে মদের গ্লাসের রহস্য উদঘাটন

Jahid Hasan

এবার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মসহ সাধারণ মানুষের কাছে একটি জানার আগ্রহ মদের গ্লাস হাতে নিয়ে আসিফ মাহাতাব কি করতেছিল সে বিষয়ে প্রসঙ্গে। কারণ এটি সত্যিই মত ছিল কিনা নাকি অন্য কিছু ছিল সে বিষয় সম্পর্কে জানার আগ্রহ সবার। আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনে সেই বিষয় সম্পর্কে জানব।

প্রায় এক সপ্তাহ ধরে প্রচুর আলোচনা সমালোচনায় রয়েছে শিক্ষক মাহতাব আসিফ। মূলত তিনি ট্রান্সজেন্ডারকে প্রতিবাদ জানিয়ে আলোচনায় এসেছে। তিনি এক অনুষ্ঠানে গিয়ে সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলেন শরীর থেকে শরিফার হওয়ার গল্প এর দুই পৃষ্ঠা ছিড়ে আবার দোকানদারকে সেটি বিক্রি করে দিতে বলতে। অবশ্যই ছিড়ার পূর্বে নিজের টাকা দিয়ে এই বই কিনতে হবে। মূলত এটা ছিল তার একটি প্রতিবাদ মূলক কথা। এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে তাকে ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এই বিষয়টি তিনি ফেসবুকে শেয়ার করেন। এরপর থেকে সোশ্যাল মিটারসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে চলে দারুন সমালোচনা তার বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম। অনেকে আবার বয়কট বিকাশ এবং বয়কট ব্র্যাক পণ্য শুরু করে দেয়।

ভাইরাল মদের গ্লাস হাতে নিয়ে শিক্ষক আসিফের ছবি

এদিকে আলোচনা বিষয় হচ্ছিল এটি নিয়ে তারপরে হঠাৎ করেই একটি ছবি ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়াতে। সেখানে দেখা যায় শিক্ষক মাহতাব আসিফ একটি মজার গ্লাস হাতে নিয়ে দুইটি মেয়ের সঙ্গে ছবি তুলেছেন। এই বিষয়টি নিয়ে তার বিপরীত সাইটের লোকজন বলছিল তিনি অ্যালকোহল অর্থাৎ মদ গ্রহণ করছে সে বিষয় সম্পর্কে। এ বিষয় নিয়ে তার সাথে কথা বলা হলে তিনি পুরো ঘটনাটি বলেন।

উনি বলেন তার হাতে যেটি মদের গ্লাস ছিল সেখানে কোন মদ বা অ্যালকোহল ছিল না। আর আমি কখনো অ্যালকোহল খাইনি এবং গ্রহণও করি না। ওই গ্লাসে ছিল আপেলের জুস এবং সঙ্গে যারা ছিল একজন হচ্ছে আমার বোন এবং অপরজন হচ্ছে খালা। আর যে ছবিটি তোলা হয়েছিল সেটি হচ্ছে আমার ইউনিভার্সিটির স্কলারশিপ পাওয়ার ছবি। ছবিটির মূল রহস্য ছিল এটি। শিক্ষক আসিফ মাহতাব থেকে এই বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা পাওয়া গেছে।

অনেকেই জানতে চেয়েছিলেন শিক্ষক আসিফের হাতের মদের গ্লাসের রহস্য উদঘাটন সম্পর্কে। আশা করি এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে আপনারা এই বিষয় সম্পর্কে সম্পূর্ণ পরিপূর্ণ একটি ধারণা পেয়েছেন।

আরো পড়ুন: একুশে বইমেলা উদ্বোধন

Share This Article