আবারো গার্মেন্ট শ্রমিক গুলি বিদ্ধ

Jahid Hasan
আবারো গার্মেন্ট শ্রমিক গুলি বিদ্ধ

নিহত হয়েছে আবার গার্মেন্ট শ্রমিক। একের পর এক পাঁচজন মারা গেল এই নূন্যতম মজুরি আন্দোলন নিয়ে। কেন থামছে না এই সংঘর্ষ আর কেনই বা দাবি মানছে না শ্রমিকরা সে বিষয় নিয়ে আজকে উপস্থাপন করব।

বছরের শুরু থেকেই শ্রমিকের ন্যূনতম মজুরী আন্দোলন নিয়ে চলছিল বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা। অবশেষে সেপ্টেম্বরের শেষের দিক থেকে শুরু করে অক্টোবর প্রথম থেকে জোরালো হয় এই আন্দোলনের এবং দাবির। অবশেষে চূড়ান্ত পর্যায়ে লাভ করে সারা বাংলাদেশ সকল পোশাক শ্রমিকরা ধর্মঘট এবং আন্দোলনের ডাক দেয়। একসঙ্গে মাঠে নামে সারা বাংলাদেশের গার্মেন্টস শ্রমিক। এর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের সংঘর্ষের দেখা দেয়। প্রথম দেখে এর পরিমাণ কম থাকলেও পরবর্তী সময়ে যত দিন যাচ্ছে তত বৃদ্ধি পেতে শুরু করছে। বিশেষ করে পুলিশ এবং শ্রমিকের মধ্যে দফায় দফায় এই সংঘর্ষ বেশি হচ্ছে।

আবার অন্যদিকে মালিক শ্রমিকের দাবি পোশাক শ্রমিকরা গার্মেন্টস ভাঙচুর করছে। ঠিক বিপরীত তাই দাবি করছে মালিক শ্রমিকরা তাদের লোকদের গার্মেন্টস ভাঙচুর করছে যাতে করে শ্রমিকরা বিপদে পড়ে। এ নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ রয়েছে দুই পক্ষের।

আবারো নিহত ১ পোশাক শ্রমিক

আন্দোলন শুরু হওয়ার কিছুদিন পর একজন শ্রমিক মারা যায় তারপরে আবার আরেকজন মারা যান। তবে মারা যাওয়ার মূল কারণ দোষারোপ করছে পুলিশকে। কারণ এ পর্যন্ত যতজন মারা গেছে মূলত পুলিশের সাথে সংঘর্ষ হয়ে মারা গেছেন। এমনকি অনেকে গুলি বিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। গতকালকেও একজন মারা গিয়েছে যাকে কেন্দ্র করে আবার আন্দোলন অন্যদিকে ঘুরে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিশ্লেষকরা। অবস্থা বেগতিক দেখে ৪৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়ন করা হয়েছে। কিন্তু তেমনটা কোন আভাস পাওয়া যাচ্ছে না স্বস্থির।

More: অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ প্রায় ২৫ টি গার্মেন্টস

এইতো দুইদিন আগে ২৫টি গার্মেন্টস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে। এতে করে গার্মেন্টস শ্রমিকরা যেমন বিপাকে পড়বে ঠিক সেইভাবে বিপাকে পড়বে গার্মেন্টস মালিকরাও। শ্রমিকের ন্যূনতম মজুরিকে সরকারিভাবে বৃদ্ধি করে ১২৫০০ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত শ্রমিকরা এই দাবিটি মেনে নেয়নি এবং তারা ক্রমশ আন্দোলন করে যাচ্ছে। যদি এভাবেই আন্দোলন করতে থাকে তাহলে কিছুদিনের মধ্যে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক অবস্থা বেগতিক দেখা দেবে এবং প্রচুর ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

Share This Article