বাংলাদেশের গার্মেন্টসের বর্তমান অবস্থা

Jahid Hasan

যারা বাণিজ্যিক বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করেন তাদের জন্য আজকের এ প্রতিবেদনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এ প্রতিবেদনায় তুলে ধরা হচ্ছে বাংলাদেশের গার্মেন্টসের বর্তমান অবস্থা এবং পরিস্থিতি সম্পর্কে।

২০২৩ সালের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ছিল গার্মেন্টসের গরম গরম অবস্থা। বিশেষ করে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি আন্দোলনের জন্য মাঠে নেমেছিল পোশাক শ্রমিকরা। তাদের দাবি ছিল সর্বনিম্ন মজুরি কমপক্ষে ২২ হাজার টাকা করার কিন্তু তাদের এ দাবিটি মানা হয়নি। এরপর দফায় দফায় আন্দোলন করার পর অবশেষে ১২ হাজার ৫০০ টাকা ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করে দেওয়া হয় সরকারের পক্ষ থেকে। অবশেষে এই দাবিটি মেনে নেয় বাংলাদেশ পোশাক শ্রমিক সংগঠন এবং সাধারন শ্রমিকরাও। অবশেষে তারা ঘরে ফিরে চায় এবং তারা যার যার কোম্পানি থেকে কাজ শুরু করে দেয় পূর্বের মত। কিন্তু একটি বিষয়ে প্রথম থেকে শোনা যাচ্ছে সেটি হচ্ছে গার্মেন্টসের পরিস্থিতি নাকি অনেকটা পিছিয়ে গেছে। গত কয়েকদিন একটি খবরে জানা গেছে বাংলাদেশ গার্মেন্টস রপ্তানির খাতে চীনকে ছাড়িয়ে প্রথম পজিশনে রয়েছে। তবে হঠাৎ কি এমন খবর আসলো যে কপালে ভাজ পরলো এই গার্মেন্টস কর্মকর্তাদের। সেই বিষয় সম্পর্কে জানব আজকে আমরা এই প্রতিবেদনে।

বাংলাদেশের গার্মেন্টসের বর্তমান অবস্থা

বেশ কয়েকজনের মাধ্যমে এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে জানা গেছে উন্নত রাষ্ট্রগুলো থেকে এ রপ্তানির পরিমাণ অনেক অংশ কমে গিয়েছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং জার্মানি সহ বেশ কয়েকটি দেশ থেকে অর্ডার আসার পরিমাণ বেশ কমে গেছে। যার কারণে বাংলাদেশ গার্মেন্টস কোম্পানিগুলো অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আসেন আমরা এই পরিস্থিতির সম্পর্কে আলোচনা করি এবং জেনে নেই কি কি কারণ।

চূড়ান্ত করা হয়েছে গার্মেন্টসের ন্যূনতম মজুরি 

বাংলাদেশ থেকে যতগুলো গার্মেন্টস প্রোডাক্ট রপ্তানি হয়, তার মধ্যে প্রায় ৮৫% রপ্তানি হয়ে থাকে এই যুক্তরাষ্ট্র আলাদা এবং জার্মানির সহ বেশ কয়েকটি দেশে। কিন্তু রপ্তানির পরিমাণ যুক্তরাষ্ট্রে কমেছে 6 শতাংশ এবং জার্মানি থেকে কমেছে তাই ১৫ শতাংশ। যা কপালে ভাজ ফেলে দিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক শ্রমিক এবং মালিকদের। কারণ এখানে সংযুক্ত রয়েছে কয়েক লক্ষ পোশাক শ্রমিক এবং কয়েক হাজার মালিক। এর প্রেক্ষাপটে কারণ হিসেবে জানতে চাইলে বিজিএম এর সভাপতি বলেন বড় বাজার থেকে রপ্তানি কম আসা অবশ্যই সেটি উদ্যোগের। অন্যদিকে ডক্টর আব্দুর রাজ্জাক বলেন রাজনীতির জন্য এমনটা হয়নি কিন্তু আগামী কিভাবে সেটা বলা যাচ্ছে না। তবে বাংলাদেশের গার্মেন্টসের বর্তমান অবস্থা কি সেটি এখন পর্যন্ত পরিষ্কার ভাবে জানা যাচ্ছে না। তবে সাধারণ মানুষের মধ্যে রয়েছে অনেক দুশ্চিন্তার কারণ।

Share This Article