ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় | বাংলাদেশের যে সকল ব্যাংক লোন দিয়ে থাকে

Jahid Hasan

ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় : বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি ব্যাংকই তাদের গ্রাহকদের জীবনকে সহজ সরল করতে সাহায্য করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ঋণ প্রদান করে থাকে। ন্যূনতম চার্জের বিপরীতে গ্রাহকদের সাহায্য করার জন্য ব্যাংক গুলো অনেক আকর্ষণীয় অফার দেয়। বাংলাদেশের যে সকল ব্যাংক লোন দিয়ে তাকে|

বাংলাদেশের যেসকল ব্যাংক সহজে লোন দিয়ে থাকে:

বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের ব্যাংক রয়েছে যেগুলো বিভিন্ন মাধ্যমে সহজ লোন বা ঋণ প্রদান করে। যেমন:-

  • বিজনেস লোন
  • কার লোন
  • এডুকেশন লোন
  • হোম লোন
  • পার্সোনাল লোন

ব্যবসায়িক ঋন :
ব্যবসার উদ্দেশ্যে কিছু ব্যাংক ঋণ প্রদান করে থাকে.যেমন,

উত্তরা ব্যাংক:
উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড প্রকৃত ব্যবসায়ীদের সাহায্য করার জন্য ঋণ প্রদান করে থাকে. এই ব্যাংক সর্বোচ্চ ৫ বছর মেয়াদে স্থানীয় লোকদের ঋন দিয়ে থাকে।

More: কিভাবে নেক্সাস পে রেজিস্ট্রেশন করবেন

যোগ্যতা:

*একটি ক্রমবর্ধমান ব্যবসার উদ্যোক্তা হতে হবে।

  • ব্যবসার মেয়াদকাল কমপক্ষে দুই বছর হতে হবে।

*ব্যাংকের কারেন্ট একাউন্ট হোল্ডার হতে হবে।

উপরের শর্তগুলো মেনে আপনি সহজেই ব্যবসার ক্ষেত্রে ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করতে পারবেন।

গাড়ি ঋন :

বাংলাদেশের বেশকিছু ব্যাংক গাড়ির জন্য খুব সহজেই ঋন প্রদান করে থাকে যেমন

১) ডাচ বাংলা ব্যাংক :

আপনার পছন্দের গাড়ির মালিক হতে এবং আপনার পরিবারের জন্য একটি আরামদায়ক এবং নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করার জন্য একটি ঋণ সুবিধা নেওয়ার পরিকল্পনা করছেন! তাহলে ডাচ-বাংলা ব্যাংক আপনার উদ্দেশ্য পূরণের জন্য এ ধরনের গাড়ির ঋণ অফার করে যার নাম ডিবিবিএল গাড়ি ঋণ প্রত্যাশা। সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের মেয়াদে ৪০০০০০০০০ টাকা অফার করে।

২) ব্যাংক এশিয়া

রিকন্ডিশন এবং ব্র্যান্ড নতুন গাড়ি উভয়ের জন্য ঋণের পরিমাণ সর্বোচ্চ ২০০০০০০ লক্ষ টাকা এবং পরিশোধের মেয়াদকাল রিকন্ডিশন গাড়ির জন্য সর্বোচ্চ পাঁচ বছর এবং ব্র্যান্ড নিউ গাড়ির জন্য ছয় বছর। ব্যাংক থেকে ঋণ তোলার জন্য অবশ্যই গ্রাহকের সর্বনিম্ন বয়স ২৫ এবং সর্বোচ্চ ৬৫ বছর হতে হবে। মাসিক আয় (খরচ মেটানোর পর) কমপক্ষে ১৫০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে হবে।

৩) যমুনা ব্যাংক:

যমুনা ব্যাংক সেই সমস্ত গ্রাহকদের গাড়ি লোন অফার করে যারা নগদ কিস্তি প্রদান করতে পারবে।

এই পাঁচ বছরের স্কিম পরিষেবা শিক্ষক এবং অন্যান্য পেশাজীবীদের জন্য ২০০০০০০ লক্ষ টাকা ঋণ এর সাথে সর্বাধিক ১০ আসনের ব্র্যান্ড বা পুনর্নির্মণিতো ব্যক্তিগত পরিবহন অফার করে।

গৃহ ঋণ :
বাংলাদেশী নাগরিকত্ব সহ যেকোন বেতনভোগী, স্ব-কর্মসংস্থান বা ব্যবসায়ী ব্যক্তি হোম লোনের জন্য আবেদন করতে পারেন।

  • বয়স ২১ বা তার বেশি হতে হবে,
  • ঋণ পরিশোধ করার জন্য অবশ্যই আয়ের উৎস থাকতে হবে।
  • হোম লোনের জন্য আবেদন করার আগে, সচেতন থাকুন যে অন্তত তিন মাস আগে পর্যন্ত আপনার কোনও খারাপ ক্রেডিট নেই।

কৃষি ব্যাংক লোন পদ্ধতি

১) IFIC ব্যাংক লিমিটেড

আপনি যদি নিজের বাড়ি থাকার স্বপ্ন দেখে থাকেন তাহলে IFIC AAMAR BARI হল আপনার জন্য নিখুঁত আর্থিক সমাধান। এটি বাংলাদেশের সকল ক্রেডিট যোগ্য ব্যক্তিদের জন্য একটি আকর্ষণীয় ঋণ সুবিধা।যারা নতুন বা ব্যবহৃত অ্যাপার্টমেন্ট/ফ্ল্যাট কিনতে চান, বা তাদের বিদ্যমান ফ্ল্যাট/বাড়ি নির্মাণ/সংস্কার/প্রসারিত করতে চান, আধা-পাকা ঘর ইত্যাদি সংস্কার করতে পারবেন IFIC আমার আমার বাড়ি এর সহায়তায়। ঋণের পরিমাণ ২ কোটি টাকা পর্যন্ত।

সোনালী ব্যাংক লোন পদ্ধতি

২) সিটি ব্যাংক :

সিটি ব্যাংক থেকে সহজে হোম লোনের মাধ্যমে আপনার স্বপ্নের বাড়িকে বাস্তবে পরিণত করতে পারেন। এই ব্যাংকের বিস্তৃত বিকল্পগুলি আপনার বাড়ির প্রতিটি অর্থায়নের প্রয়োজন মেটাতে ডিজাইন করা হয়েছে, তা হতে পারে একটি নতুন ফ্ল্যাট কেনা, বাড়ি নির্মাণ বা আপনার বিদ্যমান বাড়ির সংস্কার।

৩) ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড :

ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় EBL হোম লোন হল একটি সুইট হোমের উদ্দেশ্য পূরণের জন্য ক্রেডিট যোগ্য ব্যক্তিদের জন্য একটি মেয়াদী ঋণ সুবিধা (EMI ভিত্তিক)। ব্যাঙ্ক আবাসন চাহিদা মেটাতে ক্রেডিট যোগ্য ব্যক্তির মাসিক আয়ের বিপরীতে অর্থায়ন করবে।

শিক্ষা ঋন :

এখানে সমস্ত ব্যাংকের শিক্ষাঋণের একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে এবং তাদের নামের দ্বারা বর্ণানুক্রমিক ভাবে তালিকাভক্ত করা হয়েছে। ব্যাংক লোনের বিস্তারিত জানতে নামগুলি তে ক্লিক করুন এবং আপনার স্বপ্নকে সত্যি করতে সেরা টি বেছে নিন।

১)এনসিসি ব্যাংক

২) যমুনা ব্যাংক

৩) মার্কেন্টাইল ব্যাংক

৪) ওয়ান ব্যাংক লিমিটেড

৫) প্রাইম ব্যাংক

শিক্ষা ঋণ বা শিক্ষা লোনও বলে থাকি আমরা।

এই লোন সাধারণত অভিভাবকদের কিংবা সরাসরি শিক্ষার্থীদেরও দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে ঋণ গ্রাহকদের ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংক কিছু শর্ত দিয়ে থাকে সেই শর্তসমূহ মেনে তবেই ঋন নেওয়া যায়।

যোগ্যতা:

  • লোন গ্রহণকারীকে অবশ্যই লোন পরিশোধ করার ক্ষমতা থাকতে হবে।
  • সরকারি অথবা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের যেকোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী যাদের মাসিক আয় ১২০০০ থেকে ১৮০০০ এর মধ্যে তারা সহজেই ঋণ সুবিধা নিতে পারেন।
  • আয়ের প্রমাণপত্রসহ যে সকল শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থাকে এবং যাদের মাসিক আয় ৫০ হাজার টাকার মতো তারাও ঋণ সুবিধা নিতে পারেন।
  • যোগ্যতা অনুযায়ী শর্তের বিনিময়ের যাদের বয়স ২৫ থেকে ৪০ বছর তারাও লোন নিতে পারেন।

কাগজপত্র:

ব্যক্তিগত প্রয়োজনীয় তথ্য বা ডকুমেন্ট যেমন, প্রমাণপত্রসহ আয়ের উৎস, যে শিক্ষার্থীর জন্য লোন নেওয়া হবে তাদের কলেজ অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির ফরম এবং তাদের সম্মতি পত্র জমা দিতে হবে।

তারপর ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জমাকৃত তথ্য বা ডকুমেন্ট যাচাই-বাছাই করে খুব স্বল্প সময়ে আবেদনকারীকে ঋণ দিয়ে দিবে।

১) এনসিসি ব্যাংক:

বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্যে ব্যাংকটি ঋণ দিয়ে থাকে। একটি উন্নত উচ্চ শিক্ষা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর জন্য সর্বোচ্চ ১০০০০০০ টাকা অফার করছে এই ব্যাংক।

২) যমুনা ব্যাংক লিমিটেড:

এই ব্যাংক চার বছরের জন্য স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিং, নার্সিং এবং অন্যান্য পেশাদার কোর্সের সর্বোচ্চ ৪০ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের জন্য সর্বোচ্চ ১০০০০০০ টাকা ঋণের অফার করে। রুপালী ব্যাংক লোন পদ্ধতি

৩) মার্কেন্টাইল ব্যাংক:

এই ব্যাংক শিক্ষার ক্ষেত্রে বিদেশে বা দেশের অভ্যন্তরে পড়াশোনার মত আরো শিক্ষাগত উদ্দেশ্যে আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য চমৎকার শিক্ষাগত ট্র্যাক রেকর্ড গড়েছে। বাংলাদেশি যে কোনো শিক্ষার্থী এ ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারে। ৬ বছর মেয়াদ প্রদানের ক্ষেত্রে এটি সুদের হারসহ সর্বোচ্চ ২০০০০০০ টাকা পর্যন্ত ঋণ দিতে পারে।

৪) ওয়ান ব্যাংক লিমিটেড:

ওয়ান ব্যাংক শিক্ষার্থীদের জন্য দেশে এবং বিদেশে পড়াশোনার ক্ষেত্রে ঋণ প্রদান করে থাকে। ১২% হার সুদে ১২ থেকে ৪৮ মাস মেয়াদে এ ঋণের সীমা ৫০০০০ থেকে ৪০০০০০০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। যে কোন ক্রেডিট যোগ্য স্থানীয় পিতা-মাতার ন্যূনতম নথির সাথে আবেদন করতে পারেন ঋন এর জন্য।

৫) প্রাইম ব্যাংক:

ব্যাংকটি মূলত শিক্ষার্থীদের তাদের অভিভাবকের আয়ের উপর ভিত্তি করে ঋণ দিয়ে থাকে। আয়ের উপর নির্ভর করে এই স্কিমটি এক থেকে তিন লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ দিয়ে থাকে। ১৫% হার সুদে দুই বছর মেয়াদ প্রকল্পে সাধারণত ঋণ দিয়ে থাকে।

পার্সোনাল লোন :

ব্যক্তিগত বা সংসারের প্রয়োজন মেটাতে বাংলাদেশের বিভিন্ন ধরনের ব্যাংক পার্সোনাল লোন দিয়ে থাকে।

১) এবি ব্যাংক:

ব্যক্তিগত সমস্যা সমাধানে এবি ব্যাংক থেকে খুব সহজে ২০০০০০০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন নেওয়া যেতে পারে।

২)ব্র্যাক ব্যাংক:

আপনার দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটাতে ব্র্যাক ব্যাংক আপনাকে বিস্তৃত আর্থিক সমাধান অফার করে।

৩)ঢাকা ব্যাংক :

ঢাকা ব্যাংক একটি নির্ভরযোগ্য ব্যাংক যা আপনাকে ব্যক্তিগতকৃত ঋণ সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে সর্বাত্মক সহায়তা করবে।

  • আবেদনকারীর ছবি
  • আবেদনকারীর NID কপি
  • আবেদনকারীর ই-টিআইএন/ সর্বশেষ ট্যাক্স,
  • ইউটিলিটি বিল কপি (ভাড়া বাড়ি বা মালিকানাধীন বাড়ির প্রমাণ হিসাবে)।
  • পরিচয়পত্র/ বেতনের সার্টিফিকেট, পে স্লিপ/ ক্যাশ ভাউচার (যদি প্রযোজ্য হয়), ভিজিটিং কার্ড ইত্যাদি।
  • সর্বশেষ ক্রেডিট কার্ড বিল (যদি থাকে)।
  • সর্বশেষ ১ বছরের ব্যক্তিগত ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট।
  • সর্বশেষ ট্যাক্স ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট / করের রিটার্ন রসিদ*
  • আবেদনকারীর উদ্দেশ্য ঘোষণা ফরম।
  • ব্যক্তিগত গ্যারান্টারের ছবি।
  • ব্যক্তিগত গ্যারান্টারের NID কপি।

প্রযুক্তির সাথে বিশ্বায়ন এবং ব্যাংক ভিত্তিক ব্যবসায়িক অর্থনীতির জন্য বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম উল্লেখযোগ্য একটি দেশ।। ইতিমধ্যে এটি উন্নত দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দ্রুত উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।

অন্যান্য প্রতিবেদন:  Trust Money app Registration

Share This Article