অনেকে জানতে চেয়েছেন ই ভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা জামিনে মুক্তি পেয়েছে কিনা সে বিষয় সম্পর্কে। এ প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা এবং মালিক জামিনে মুক্তি পেয়েছে গতকালকে। কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছে ই কমার্স প্রতিষ্ঠাতা রাসেল।
বাংলাদেশের এক সময়কার সেরা ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ছিল ই ভ্যালি। লোকদেরকে কম দামে পণ্য দিত এবং বিভিন্ন ধরনের অফার দিয়ে থাকতে হবে। একবার হলেও যারা মোবাইল ব্যবহার করে না তারাও এ প্লাটফর্মের নামটি শুনেছে। স্পন্সর ছিল অনেক বেশি। সর্বশেষে প্রতারণার কারণে তাদেরকে হারাতে হয়েছে সর্ব কিছু। এখানে যারা অগ্রিম অর্থ দিয়েছিল তাদের অনেকেই পণ্য পায়নি যার কারণে সকল সদস্যরা তার বিরুদ্ধে মামলা করেন এবং বিভিন্ন স্বাস্থ্যের জন্য আবেদন জানায়। তাকে অর্থ স্বাদ এবং প্রতারণার মামলায় দুই হাজার একশ সালের পুনরায় সেপ্টেম্বর তার বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়। গ্রেফতার করা হয় মোহাম্মদপুরের তাদের বাসা থেকে। এদিকে গ্রাহকদের আত্মসাতে টাকা ফিরিয়ে পাওয়ার জন্য জলে বিভিন্ন ধরনের আন্দোলন কিন্তু এখন পর্যন্ত তাদের কোন পদক্ষেপ পাচ্ছেন না।
কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছে ইভ্যালি প্রতিষ্ঠাতা রাসেল
গতকালকে থেকে শোনা যাচ্ছে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে সম্পর্কে । কারণ এখানে হাজার হাজার নয় লক্ষ লক্ষ মানুষের অর্থ জমা রয়েছে। কালকে বিভিন্ন পত্রিকার মাধ্যমে জানা গিয়েছে তাকে জামিনের মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এর আগে বিভিন্ন আবেদনের ভিত্তিতে থাকে প্রাথমিক শুনানি করে ২০২১ সালের ২২ সেপ্টেম্বরে। এরপর তার স্থাবর অস্থাবর সকল সম্পত্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা করে দেয় হাইকোর্ট। এদিকে জামিনের রয়েছে তার স্ত্রী শামীমা নাসরিন। আগে তিনি ছিলেন উক্ত প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান।
প্রতিষ্ঠানটি হিসাব অনুযায়ী দায়ের বিপরীতে বর্তমান সম্পদ রয়েছে ৯০ কোটি ৪৭ লক্ষ টাকা। স্থাপন এবং যন্ত্রপাতির শহর রয়েছে ১৪ কোটি ২৮ লাখ টাকা। মোট সম্পত্তির পরিমাণ হচ্ছে ১০৫ কোটি ৫৫ লক্ষ টাকা। এদিকে মোট দায় রয়েছে ৫৪৩ কোটি টাকা। আর যদি সম্পত্তির থেকে তা বাদ দেয়া হয় তা দাঁড়িয়ে যায় ৪৩৮ কোটি টাকা। এত টাকা পরিশোধ করবে এমন কিভাবে করবে সে বিষয় সম্পর্কে এখনো জানা যায়নি। তবে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছে ই কমার্স রাসেল সম্পর্কে জানার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করছে যারা টাকা হারিয়েছেন।
More: পোশাক খাতে চীনকে পিছনে ফেলে প্রথমে বাংলাদেশ গার্মেন্টস
