আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হচ্ছে ফ্রি ওয়াইফাই কি এবং ফ্রি ওয়াইফাই এর ব্যবহারের অসুবিধা সম্পর্কে। চলুন তাহলে এখন থেকে আমরা Free Wifi Use সম্পর্কে জেনে নেই।
বর্তমানে সারা দেশ জুড়ে মোবাইল নেটওয়ার্ক থাকলেও, যে সমস্যাটি দেখা দিচ্ছে সেটি হচ্ছে ইন্টারনেটের দাম বৃদ্ধি। যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করে তাদের অধিকাংশ মানুষই হয় বেকার না হয় স্টুডেন্ট। একটি কমন সমস্যা হচ্ছে এ সকল ডাটা পর্যাপ্ত হয় না প্রত্যেক মানুষের জন্য। অনেকে ব্যবহার করছে ওয়াইফাই। বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন প্রয়োজনে এই ওয়াইফাই এর প্রয়োজন হয়ে থাকে। তবে বেশিরভাগ মানুষ সুবিধাবাদী যার কারণে ফ্রি ওয়াইফাই খুঁজে থাকেন। এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হবে এটি কি এবং কোথায় কোথায় পাওয়া যায়। এছাড়াও একজন পাঠক জানতে পারবে। তাহলে এখন আমরা সরাসরি চলে যাই আলোচনার মূল প্রশান্তি এবং দেখে নেই সকল বিষয়গুলো।
ফ্রি ওয়াইফাই কি?
মূলত হচ্ছে এটি এক ধরনের খোলামেলা ওয়াইফাই যা সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও এর ডাটা প্যাকেজ থাকবে আনলিমিটেড এবং যে কেউ কানেকশন করতে পারবে বিনা পাসওয়ার্ড ছাড়াই। মোটকথা সার্বজনীন ফ্রিতে নেটওয়ার্ক শেয়ার করাই হচ্ছে Free WiFi. কোন ধরনের সিকিউরিটি বা প্রাইভেসি দেওয়া থাকবে না।
ফ্রি ওয়াইফাই ব্যবহারের সুবিধা অসুবিধা?
এটি ব্যবহারের সুবিধা হচ্ছে কোন ধরনের অর্থ লাগে না। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ব্যবহার করার সুযোগ পাওয়া যায়। ঠিক তেমনভাবে এর মধ্যে রয়েছে বেশ অসুবিধাও। কারণ এই ধরনের ওয়াইফাই থাকে বিভিন্ন ধরনের হ্যাকিং সিস্টেম। ডাটা চুরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে সবচেয়ে বেশি। তাই এই ধরনের ফ্রি সার্ভিস ব্যবহার না করাই সবচেয়ে ভালো।
কোথায় কোথায় ফ্রি ওয়াইফাই পাওয়া যায়?
অনেকে জানার আগ্রহ প্রকাশ করে থাকে এ ধরনের ওয়াইফাই গুলো কোথায় পাওয়া যায় এবং কিভাবে পাওয়া সম্ভব। এগুলো সাধারণত পাওয়া যাবে বিভিন্ন ধরনের পাবলিক প্লেসে। বিশেষ করে বড় বড় বাস এবং অন্যান্য সার্ভিস গুলোতে। আরো পাওয়া যায় বিভিন্ন ধরনের রেস্টুরেন্ট গুলোতে। বাংলাদেশের হিসাব অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি এগুলো পাওয়া যায় বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে এবং প্রমোশন সেক্টরগুলোতে। এছাড়াও বিভিন্ন কোম্পানিগুলো প্রমোশনের জন্য এগুলো ফ্রি সার্ভিস প্রোভাইড করে থাকে।
এই প্রতিবেদনে আপনারা দেখলেন ফ্রি ওয়াইফাই কি সে বিষয়ে সম্পর্কে। কিন্তু এ বিষয়ে জানার পরও আপনাকে সবসময় সচেতন ভাবে এই ডাটা গুলো ব্যবহার করতে হবে। কেননা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হে শিকার হয় এবং পরবর্তী সময়ে তারা অনেক টাকা দাবি করে থাকেন। প্রতিবেদনটি নিজে করুন এবং অন্যদের করার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য শেয়ার করে দিন।
অন্যান্য প্রতিবেদন: এসিড ব্যাটারি নাকি পাউডার ব্যাটারি
