ইসলামিক বিষয়ক আলোচনায় আমরা এই প্রতিবেদনে এখন জানবো ইতিকাফের ফজিলত কি সে বিষয় সম্পর্কে। কেননা ইতিকাফের সময় খুব শীঘ্রই এবং কাছাকাছি অনেকেই এ বিষয়টি জানেন না। তাদের জন্যই আমাদের আজকের এ প্রতিবেদনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
হাদিসে আছে রমজানের সময় ইতিকাফ করতে হয়। আর এটি সবার উপর ফরজ নয় তবে কোন মসজিদ থেকে যদি ওই মহল্লার কেউ না থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে ওই মহল্লার সবাই গুনাহগার হবে। তাই একজন বান্দাকে অর্থাৎ ওই মহালয়ার একজন মুসলমানকে অবশ্যই ইতেকাফ করতে হবে। এটি ২০ রমজান থেকেও করতে পারে আবার শেষ রমজান থেকেও থাকতে পারেন। এমনটাই হাদীসে রয়েছে। আর এটি মানার জন্য কথার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে যদি এক মহল্লা থেকে একাধিক মানুষ থাকতে চায় তাহলে অবশ্যই সেটি তাদের জন্য কল্যাণকর। অনেকে এর ফজিলত সম্পর্কে জানেন না আজকে আমরা এর ফজিলত সম্পর্কে আলোচনা করব।
ইতিকাফের ফজিলত
যদি কোন মুসলমান এক ইতিকাফের ফজিলত জানতো তাহলে প্রত্যেক মানুষকে এই ইতিহাসের জন্য উৎসাহিত হতো। আসুন আমরা এর ফজিলত এবং নিয়ামত সম্পর্কে জানি।
মুসলমানের যে বিষয়গুলো নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে সেগুলো অবশ্যই তাদের জন্য কল্যাণকর। যদি কোন ব্যক্তি ইতিকাফ করেন তাহলে তার শবে কদরের লাভের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। কারণ ২০ রমজানের পরবর্তী বিজো রাতে শবে কদর আসে। যে ব্যক্তি ইতিকাফে বসে সে তখন থেকেই শুধুমাত্র আল্লাহ তাআলার ইবাদত বন্দেগীতে ধ্যানমগ্ন থাকেন। আর এই সময় তার শবে কদরের লাভের সম্ভাবনা রয়েছে। যে ব্যক্তি শবে কদর পাবে তার অতীতের সকল গুনাহ মাফ হবে এবং আরো অন্যান্য নিয়ামত এবং ফজিলত পাবেন। অর্থাৎ একজন বান্দার গুনাহ মাফের জন্য সবচেয়ে বড় একটি সুযোগ হচ্ছে এটি।
আরেকটি ফজিলত হচ্ছে সেটি হচ্ছে দুনিয়ার সকল কাজ বাদে মান আল্লাহ তাআলার ইবাদত বন্দেগীতে মশগুল থাকা যায়। যার মাধ্যমে সকল পাপ কাজ থেকে বিরত থাকা সম্ভব হয় এবং মহান আল্লাহতালার সন্তুষ্টি অর্জন করা যায়। এজন্যই বেশি বেশি ইতি কাজ করার প্রয়োজন।
আবার বেশ কয়েকটি হাদীসে এসেছে ওমরা হজের সওয়াব লাভ করে। সুতরাং আপনাদের এই সওয়াবের আশা করেন এবং তা চাচ্ছেন তারা অবশ্যই ইতিকাফ করবেন। কেননা এর মাধ্যমে আরো অন্যান্য ফজিলত এবং নিয়ামত রেখে দিয়েছেন মহান আল্লাহ তায়ালা। ইতিকাফের ফজিলত নিজে জানবো এবং অন্যকে জানার জন্য সহযোগিতা করে দিব। আর আমরাও ইতেকাফ করার জন্য প্রস্তুত রাখবো নিজেদেরকে।
অন্যান্য- আয়াতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণ
