ঘটতে যাচ্ছে আরেকটি নতুন ঘটনা। কারণ গত শুক্রবারে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির জন্য আন্দোলনে নামছে ভারতের ব্যবসায়ীরা। কেন তারা আন্দোলন করছে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আর কি কারনে করছে সে বিষয় সম্পর্কেই তুলে ধরবো এই প্রতিবেদনে।
৮ ডিসেম্বর ঘোষণা করা হয়েছিল ভারত সম্পূর্ণরূপে পেঁয়াজ বন্ধ করবে আগামী চার মাসের জন্য। এই কথা শোনার পর বাংলাদেশের গণমাধ্যমে সরে পড়ে চারদিকে। পরের দিন 9 ডিসেম্বর থেকেই পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি হয়ে যায় প্রায় দ্বিগুণ। এক কেজি পেয়াজ যেখানে 80 থেকে 100 টাকা কেজি ছিল সেখানে হয়ে দাঁড়ায় ২০০ টাকার কেজি মতো। অস্বাভাবিকভাবে চলতে থাকে পরবর্তী সময়ে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হলেও তা ১২০ টাকা কেজি পর্যন্ত ঠিক থাকে। পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছিল ভারত সে বিষয়টি অনেকের কাছেই জানা ছিল না। পরবর্তী সময়ে কয়েক শতক পেঁয়াজ দেয়া হয়েছিল কিন্তু এবার আন্দোলন করছে ভারতরা নিজেরাই।
বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির জন্য আন্দোলন করছে ভারতের ব্যবসায়ীরা
হ্যাঁ সত্যিই তারা আন্দোলনের নামছে এমনটাই পাওয়া গেছে বিভিন্ন গণমাধ্যম এবং প্রমাণস্বরূপ কিছু জায়গাতে। শুক্রবারে গুজরাটের কৃষকরা পেঁয়াজ রাস্তায় ফেলে এই বিক্ষোভ এবং প্রতিবাদ জানাই। কেমন এর করে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করল সেটি জানতে চাচ্ছে এবং এর মতামত প্রত্যাহার করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। গুজরাটের কৃষকরা জানান যখন পেঁয়াজ রপ্তানি করা হতো তখন প্রতি কুইন্টাল পেঁয়াজের দাম ছিল ৪ হাজার রুপি।
কিন্তু যখন থেকে বাংলাদেশের উপর পেঁয়াজ রপ্তানি করা বন্ধ করে দিয়েছে তখন থেকেই এর দাম প্রতি কুইন্টালে 1500 রুপি কমে ২৫০০ রুপি হয়ে গিয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে কৃষকরা বিপদের মুখে পড়বে এবং প্রচুর লোকসান হবে। এর মধ্যে অনেকেই জানান ট্রাক ভর্তি করে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে পেঁয়াজ রপ্তানি করতে গেলে তাদেরকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। যার কারণে এর মূল্য ধসে পড়ে এবং বিপদের সম্মুখীন হচ্ছে সাধারণ কৃষকরা। এছাড়াও মুম্বাই থেকে আগ্রার মহাসড়কেও এই ধরনের আন্দোলন করতে দেখা যায়। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী বরাবর একটি চিঠি লেখা হয় যাতে করে এর সিদ্ধান্ত পুনরাবৃত্তি ভাবে বিবেচনা করে দেখেন। মূলত এই কারণেই বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির জন্য আন্দোলনে নেমেছে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা।