শরীফ শরীফার গল্প নিয়ে তদন্ত কমিটির মতবাদ
বেশ কয়েক সপ্তাহ আগে প্রচুর আলোচনা হয়েছিল শরীফ শরীফার গল্প নিয়ে। মোটামুটি আলোচনায় ব্যাপক সমালোচনা হলেও শেষের দিকে সমাধানের পথে হাঁটছিল। কিন্তু সম্প্রীতি সময়ে এই ঘটনা নিয়ে আবার আলোচনায় এসেছে।
মূল ঘটনা ঘটেছিল জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক আছেন ট্রান্সজেন্ডার এর প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি ওই গল্পের দুই পৃষ্ঠা। এরপর তার প্রতিবাদে সারা দিয়েছিল সারা বাংলাদেশের শিক্ষার্থীর সহ সাধারণ মানুষেরা। কিন্তু এই বিষয়কে কেন্দ্র করে ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয় থাকে শিক্ষকতা থেকে অব্যাহতি দেন। এরপর তিনি এই ঘটনা ফেসবুকে পোস্ট করেন তারপর সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্যাপক প্রতিবাদ চলে ব্রাকের বিভিন্ন পণ্য নিয়ে। যেমন বয়কট ব্রাক, বয়কট বিকাশ ইত্যাদি। ধারাবাহিকতায় প্রচুর আলোচনা সমালোচনা হয়।
সপ্তম শ্রেণীর শরীফ শরীফার গল্প
মূলত এই গল্পে ছিল সপ্তম শ্রেণীতে পড়াশোনা করে শরীর সে এক সময়তে অনুভব করতে থাকে তার মেয়েলি ভাব। এই সময়ে তিনি পরিবার থেকে আলাদা হয়ে যান এবং তারপর পরিবার থেকে দূরে থাকতে শুরু করে। শারীরিকভাবে তিনি পরিবর্তন না হলেও মানসিকভাবে সফলতা তিনি নিজেকে ভাবতে শুরু করে। এর পর তিনি একবার তাদের বন্ধু-বান্ধবের সাথে কথা বলে এবং এ বিষয়ে তিনি বলেন। এই গল্প নিয়ে মূলত বিতর্কে সৃষ্টি হয়েছে।
একপক্ষ বলতেছে এটি হিজরাকে বোঝানো হয়েছে, আবার আরেক পক্ষে বলতেছে এটি ট্রান্সজেন্ডারকে বোঝানো হয়েছে যা সম্পূর্ণ আমাদের দেশে অবৈধ এবং মুসলিম ধর্মের ক্ষেত্রেও সম্পূর্ণ হারাম। বিভিন্ন ধরনের তর্ক বিতর্ক চললে অবশেষে এ বিষয়ে সিদ্ধান্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শরীফ শরীফের গল্প নিয়ে এখন পর্যন্ত কোন ধরনের কমিটি থেকে তথ্য পাওয়া যায়নি। এই বিষয়ে আপডেট তথ্য পাওয়া মাত্রই আপনাদেরকে দেওয়া হবে। এই বিষয় সম্পর্কে জানতে অবশ্যই আমাদের পত্রিকা নিয়মিত পড়বেন।
আরো পড়ুন: শরীফ থেকে শরীফার গল্প পর্যালোচনায় ৫ সদস্যের কমিটি গঠন