সর্বজনীন পেনশন স্কিম ২০২৪: কিভাবে দেওয়া হবে, কি কি সুবিধা পাবেন?

Shaheda Jannat

বাংলাদেশ সরকার সবার জন্য পেনশন এর ব্যাবস্থা করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন। এটা সত্যি একটা সুখবর সবার জন্য। অর্থাৎ বাংলাদেশ এর সরকারি বেসরকারি, চাকুরীজীবিদের এবং যারা চাকরি করেন না সাধারণ জনগণ এর জন্য ও সরকার পেনশন এর  ব্যাবস্থা করবে এটা ঘোষণা দিয়েছেন।

দেশের ৬০ উর্ধ্বে সবাইকে পেনশন এর আওতায় নেয়া হবে।

সার্বজনীন পেনশন: কিভাবে দেয়া হবে, কি কি সুবিধা পাবেন তার বিস্তারিত তথ্য দেয়া হল:

আপনি প্রতিমাসে কত টাকা জমা রাখবেন এবং  বয়স ৬০ পার হলে মাসিক কত টাকা পাবেন তার একটি হিসাব তুলে ধরা হলো, এই সার্বজনীন পেনশন কার্যক্রম ১৮ বছর বয়স থেকে শুরু হবে ৮০ বছর বয়স পর্যন্ত জীবদ্দশায়

১, প্রতিমাসে ৫০০ টাকা জমা দিলে ৬০ বছর পার হলে সরকার আপনাকে প্রতিমাসে পেনশন ভাতা দিবে ৩২ হাজার টাকা।

২, ১০০০ টাকা জমা রাখলে ৬০ বছর পর পেনশন ভাতা পাবেন ৬৪ হাজার টাকা।

৩, ১৫০০ টাকা জমা রাখলে ৬০ বছর পর   পেনশন ভাতা মাসিক পাবেন ৯৬ হাজার টাকা।

৪, ২০০০ টাকা জমা রাখলে ৬০ বছর পর পেনশন ভাতা মাসিক পাবেন ১ লাখ ২৮ হাজার টাকা।

৫,২৫০০ টাকা জমা রাখলে ৬০ বছর পর পেনশন ভাতা মাসিক পাবেন ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা।

৬, ৩০০০ টাকা জমা রাখলে ৬০ বছর পর পেনশন ভাতা মাসিক পাবেন ১ লাখ ৯২ হাজার টাকা ।

৭, প্রতিমাসে ৩৫০০ টাকা জমা রাখলে ৬০ বছর পর পেনশন ভাতা মাসিক পাবেন ২ লাখ ২৪ হাজার টাকা।

৮, সর্বোচ্চ   প্রতিমাসে ৪০০০ টাকা জমা রাখলে ৬০ বছর পর পেনশন ভাতা মাসিক পাবেন ২ লাখ ৫৬, হাজার টাকা।

এই সার্বজনীন পেনশন ভাতা আওতায়  আসার পর বয়স ভেদে আর্থিক সুবিধা কম বেশি হতে পারে।

সার্বজনীন পেনশন এর কাজ চলছে অর্থ বিভাগ জানিয়েছে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল জানিয়েছে আগামী ৬মাস থেকে ১ বছর এর মধ্যে এই ব্যাবস্থা চালু করা হবে। শুরুর দিকে এই ব্যাবস্থা ঐচ্ছিক রাখা হলেও পরে তা বাধ্যতামূলক করা হবে।)

মন্ত্রীসভায় কমিটি বৈঠক এ অর্থমন্ত্রী বলেন (সার্বজনীন পেনশন এ আপনি প্রতিমাসে যত টাকা জমা রাখবেন সরকার সেই পরিমাণ এ টাকা আপনার তহবিল এ জমা রাখবেন)

এটি পরিচালনার জন্য আলাদা একটা কর্তৃপক্ষ গঠন করা হবে।এই কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন জায়গায় বিনিয়োগ করবে। বিনিয়োগ থেকে যত‌ টাকা মুনাফা আসবে তা ঐ পেনশন তহবিল এ বন্টন করে দেয়া হবে।

আরোও পড়ুন: ১ মাসে কত একাউন্ট খুলেছে সার্বজনীন পেনশনে

সার্বজনীন পেনশন কবে থেকে এই কার্যক্রম চালু হবে?

আগামী ৬ মাস থেকে ১ বছর এর মধ্যে এই সার্বজনীন পেনশন ব্যাবস্থা চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম আবুল কালাম। তার আগে আইন প্রনয়ন,বিধি প্রনয়ন, এবং আলাদা কর্তৃপক্ষ গঠন করা হবে ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সার্বজনীন পেনশন এর বেলায় আইন প্রনয়ন এর জন্য জরুরি নির্দেশ দিয়েছেন অর্থমন্ত্রনালয়ে। গণভবনে এ সার্বজনীন পেনশন এর ব্যাবস্থা পত্র উপস্থাপন এর সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই নির্দেশনা দেন এবং এর এর উপর বিভিন্ন দিক নির্দেশনা ও দিয়েছেন ।

অর্থমন্ত্রী বলেন এই ব্যাবস্থা চালু করতে আগ্রহী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন এই সার্বজনীন পেনশন ব্যাবস্থা চালু করার মত আর্থিক সক্ষমতা আমাদের আছে। প্রথমে এই ব্যাবস্থা ঐচ্ছিক পরে এটা বাধ্যতামূলক করা হবে। সবাই যাতে এতে  অংশগ্রহণ করতে পারে সে জন্য প্রধানমন্ত্রীর একটি আইন প্রনয়ন এর কথা বলেন।

সামাজিক ও মানবিক উন্নয়ন

সামাজিক ও অর্থনৈতিক , মানবিক উন্নয়ন এ এই সার্বজনীন পেনশন এর ব্যাবস্থা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । কেননা এই সার্বজনীন পেনশন ব্যাবস্থা চালু হলে  জানমালের উন্নতি হবে। ডিজিটাল এই  বাংলাদেশ এ আমরা সবাই এই প্রত্যাশা করি এই সার্বজনীন পেনশন ব্যাবস্থা যাতে খুব শীঘ্রই বাস্তবায়িত হয়। এই সার্বজনীন পেনশন ব্যাবস্থা এ সব নাগরিক এর আওতায় পড়বে।

জাতীয় পরিচয়পত্র

এই সার্বজনীন পেনশন ব্যাবস্থা সব নাগরিক এর অধিকার রয়েছে।এর জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র থাকতে হবে এবং জাতীয় পরিচয়পত্র এর নম্বর দিয়ে একটা একাউন্ট খোলা হবে।

তবে এই বিষয় টা খেয়াল রাখতে হবে পেনশন পাওয়ার পূর্ব সময় পর্যন্ত টাকা জমা দিতে হবে।

পরিশেষে একথাই বলতে চাই আমাদের এই ডিজিটাল বাংলাদেশ এ এই সব সুযোগ সুবিধা সব নাগরিক এর শান্তি ফিরে আনবে আর্থিক সুবিধা ভোগ করতে পারবে আমাদের জনগন ।তাই সর্বদাই প্রার্থনা করি মহান রাব্বুল আলামীন এর কাছে যাই বাস্তবায়িত হোক সব যেন ভালো হোক ।কোন ভূল হলে কমেন্টে করে জানাবেন।

Share This Article