ভারতের রপ্তানি বন্ধে বাড়তে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম
আবারো বৃদ্ধি পেতে যাচ্ছে পেঁয়াজের দাম। হঠাৎ করেই দাম বাড়ার কারণ কি সেটি জানতে পারছে না অনেকেই। এখানে কমতে শুরু করেছিল সেখানে হঠাৎ করে এত বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ কি সে বিষয়ে দিশেহারা সাধারণ ক্রেতারা।
প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় কোন না কোনভাবে যুক্ত থাকে পেয়াজ। মসলার তালিকায় এর দখল রয়েছে সর্বোচ্চ পর্যায়ে। বাংলাদেশে প্রচুর পেঁয়াজ উৎপাদন হলেও প্রয়োজন অনুসারে বেশ কম। তাই বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হয় প্রতি বছর। করোনা কালীন সময়ের পর পেঁয়াজের দাম চলে গেছিল প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি পর্যন্ত। পরবর্তী সময়ে তা নিয়ন্ত্রণে এনে ৪০ টাকা কেজি পর্যন্ত আনা হয়েছিল। বর্তমানে পেঁয়াজের দাম ছিল গত কয়েক দিনে ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত। কিন্তু আবার হঠাৎ করেই কেন দাম বৃদ্ধি পেতে যাচ্ছে সে বিষয়টি জানালে অনেকের। এখন দেশীয় পেঁয়াজ নামার সময় আর এই সময় হঠাৎ করে হু হু দাম বাড়বে কেন সে বিষয়ে সম্পর্কে তুলে ধরব।
বাড়তে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম
বাংলাদেশে যে সকল দেশ থেকে পেঁয়াজের আমদানি করা হয় তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি করা হয় ভারত থেকে। বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে জানা গেছে ভারত আগামী বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত কোন ধরনের পেঁয়াজ রপ্তানি করবেন না আমাদের দেশে। এমনটাই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। অর্থাৎ পুরো চার মাস পর্যন্ত ভারত থেকে কোন ধরনের পেঁয়াজ আমদানি করা সম্ভব হবে না। এই সংবাদ গণমাধ্যমে আসতে না আসতেই প্রতি কেজিতে ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত। গত সপ্তাহের শেষের দিকে যে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম ছিল ৯০ টাকা থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত সেখানে আজকে দাম নেওয়া হচ্ছে 110 টাকা পর্যন্ত। অনেক জায়গায় ১৫০ টাকার মূল্য বিক্রি করা শুরু করে দেওয়া হয়েছে।
Also Read: বর্তমানে বাংলাদেশে আজকের টাকার রেট
তবে এ বিষয়ে এখনো ভোক্তা অধিকার এবং কাঁচামাল ব্যবসায়ী কেউ মুখ খোলেননি। তবে আজকের এই ঘটনার পর তাদের থেকে কি মন্তব্য আশা করা যায় সেটি জানার অপেক্ষা রয়েছে সাধারণ ক্রেতারা। কেননা জিনিসের দাম এভাবে বৃদ্ধি হতে থাকলে অনেকটা ক্ষতির মুখের পড়বে ক্রেতারা। এখনো সকলকে তারা জানতে পারেনি বৃদ্ধি পেয়েছে পেঁয়াজের দাম। তার কারণেই প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে না এখন পর্যন্ত তবে খুব শীঘ্রই জানা যাবে বলে আশা করা যায়।